যুগপৎ আন্দোলনে আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সাথে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ঢাকায় একটা মহাসমাবেশ হবে যেটা এর আগে কখনো হয়নি। ১০ তারিখ যদি আমরা রাস্তায় নামতে পারি আমি মনে করি এই স্বৈরাচার সরকারের পতন হবে। পুরো পরিস্থিতিই বদলে গেছে। সারাদেশে যে সমাবেশ হয়েছে বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে মানুষ সেগুলোতে অংশ নিচ্ছে। আমি একটা কথা বলতে চাই। বিএনপি এই সংকটে একা লড়বে না। আমরাও বিএনপির সাথে আছি।
আজ(৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। যুগপৎ আন্দোলন ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রীক রূপ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য।
মান্না বলেন, এখন বাংলাদেশে ৮ কোটি মানুষ গরিব। চার কোটি বেকার। যার মধ্যে এক কোটি মানুষ শিক্ষিত বেকার। এই সরকারের অর্থনৈতিক সংকট এত তীব্র। এই সরকারের পতন হলে তারপর যেই সরকার আসবে তাকেও এই ক্রাইসিস মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে তাদেরকে আমরা বিচারে নিয়ে আসবো কোনো দলের প্রতি, পরিবারের প্রতি ব্যক্তির প্রতি আমাদের হিসাব নিকাশ নেই। কিন্তু একটা মানুষ তার নাম যত ব্যপক, পরিচিতি যত ব্যপক, তিনি যদি এই দেশের দূরাবস্থার কারণ হন তাহলে নিশ্চয় তার বিচার করতে হবে। সেই বিচারের বিষয়ে আমরা আবার কোনো বাড়াবাড়ি করব না। বিচারের স্বাভাবিক পদ্ধতি যা হবে সেই আলোকেই বিচার হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, আগামীতে যে সময় আসছে সেই সময় কেমন হবে? ডিসেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত আসতে আসতে কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে? গতকাল রাতে মির্জা ফখরুল গাড়িতে করে ঢাকায় এসেছেন। তাদের সহযোগী একজন নারী লঞ্চে করে রওয়ানা দিয়েছিলেন। তাকে রাস্তায় আটক করা হয়েছে। র্যাব তুলে নিয়ে গেছে। ডিসেম্বর আসতে আসতে সারাদেশে একটা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হবে। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে লড়তে ঢাকাবাসীকে তৈরি হতে হবে। সেই লড়াইয়ে গণতন্ত্রমঞ্চ ঘোষণা দিচ্ছে আমরা সেই লড়াইয়ের সাথে থাকব।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আরও উপস্থিত ছিলেন— বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।