হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন পাওয়া পলাতক এক আসামিকে ১১ বছর পর গ্রেফতার করেছে র্যাব। তার নাম মো. আরিফুল ইসলাম।
রাজধানীর রামপুরা থানাধীন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
আরিফুল চাঞ্চল্যকর জিল্লুর রহমান হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে জানিয়েছেন র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রহমান।
আজ (১৯ জানুয়ারি) সকালে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর রামপুরা থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানার জিল্লুর রহমান হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আরিফুলকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, ভিকটিম জিল্লুর রহমান ও আসামিরা পলাশবাড়ী থানার মামুদপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এবং সর্ম্পকে আত্মীয়-স্বজন। ভিকটিমের সঙ্গে আসামিদের একটি জমির মালিকানা ও দখল নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। ওই জমি নিয়ে জিল্লুর রহমানের পরিবারকে হত্যার হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল। এর প্রেক্ষিতে গত বছর ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ভিকটিম জিল্লুর রহমান জমিতে ধান লাগানোর জন্য গেলে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পনা মতে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জিল্লুরের ওপর হামলা করে মারাত্মক জখম করে। ভিকটিমের আত্মীয়রা গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিল্লুরকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে আরিফসহ ১২ জনকে আসামি করে পলাশবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে দীর্ঘশুনানির পর জিল্লুর রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। মামলার পর থেকেই আরিফুল পলাতক থাকায় তাকে ধরতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অবশেষে ১১ বছর পর র্যাবের হাতে ধরা পড়তে হলো তাকে।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে ১১ বছর ধরে ছদ্মবেশ ধারণ করে সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই, গাজীপুর, বাড্ডা, রামপুরাসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে আসছিলেন আরিফুল। এই সময় ক্রমাগত পেশা ও অবস্থান পরিবর্তন করে আসছিলেন তিনি। সর্বশেষ র্যাব-৪ এর একটি দল রামপুরা থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে।