শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দৈনিক খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার ও প্রেবায়োটিক রাখা অনস্বীকার্য। বিশেষজ্ঞরা বলেন, করোনা চিকিৎসায় হাই অ্যান্টি-বায়োটিক গ্রহণের কারণে হজম ক্ষমতা কমতে শুরু করে।
রোগীর শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ফোলাভাব হয়। প্রোবায়োটিক শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি ঘটায়।
প্রোবায়োটিকের উন্নত উৎস টকদই। এটি অন্ত্রের ও হাড়ের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে। শরীরে দরকারি ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে পাচক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।
লবণ এবং পানিতে ভেজানো শসা, ভিটামিন কে-এর ভালো উৎস। এর স্বাদ টক হওয়ার কারণে হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় এই আচার। স্বাস্থ্যকর প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার একটি দুর্দান্ত উৎস এটি।
কিমচি একটি কোরিয়ান খাবার। যা বাঁধাকপি, মরিচ, রসুন, আদা, লবণ এবং স্ক্যালিয়ন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এই খাবারটি হজমশক্তি বাড়ায়।
এছাড়াও ঘরে তৈরি বাটার মিল্ক প্রোবায়োটিকের আরেকটি সমৃদ্ধ উৎস। এতে ফ্যাট কম এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান আছে যেমন- বি-১২, রাইবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাকালে প্রতিদিনের ডায়েটে প্রোবায়োটিক খাবার যুক্ত করা জরুরি। কারণ এগুলো শুধু হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে না, সেইসঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন