সুস্থ থাকতে নিয়মিত যেসব স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি

স্বাস্থ্যসেবায় আগের থেকে অনেক বেশি পরিবর্তন এসেছে। রোগ নির্ণয় সহজ হয়েছে, মানুষ তার স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন হয়েছে। আগে অসুস্থতা নিয়ে মানুষ এত সচেতনও ছিল না। কিন্তু এখন মানুষের জীবনযাত্রায় এসেছে পরিবর্তন। এর ফলে সকলেই নজর দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর খাওয়া, শারীরিক কার্যকলাপের উপর। 

 

কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে কিন্তু সেই সচেতনতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। সকলেই চাইছেন বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা এড়িয়ে যেতে। যে কারণে কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাওয়ার দিকে ঝোঁক বেড়েছে। এমনকি, চিকিৎসকেরাও পরামর্শ দিচ্ছেন সুস্থ থাকতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাও খুবই জরুরি।

 

চিকিৎসকদের মতে- প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রেই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা খুবই জরুরি। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভাল। প্রাথমিক ভাবে কোনও রোগ ধরা পড়লে চিকিৎসা করাও তুলনায় সহজ। এছাড়াও অন্য কোনও সমস্যা থাকলে মানুষ আগে থেকেই সচেতন হয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। সেইমত খাওয়া, ওষুধপত্র এসব শুরু করে দেন। এর ফলে পরবর্তীতে জটিলতা অনেক কম আসে।

 

সকলে যাতে সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পান এবং দীর্ঘদিন সুস্থ থাকেন তার জন্য কিন্তু বার বার নিয়মিত হেলথ চেকআপের উপর জোর দিচ্ছেন সব বিশেষজ্ঞরা। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি আমাদের শরীরে কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা।
আজকাল ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড এসব সমস্যা ঘরে ঘরে। তাছাড়াও থাইরয়েড, গলব্লাডারের স্টোন, প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের সমস্যা এসবও বাড়ছে। কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়লেই কিন্তু হার্টের সমস্যা আসে। আসে ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও। আর যাদের ডায়াবেটিস, থাইরয়েড এবং ব্লাড প্রেসারের সমস্যা রয়েছে তাদের বছরে অন্তত দুইবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত।

 

চেকআপের সময় চিকিৎসককে কিন্তু নিজের রোগ সমস্যা বা পারিবারিক ইতিহাসে কোনও সমস্যা থাকলে তা জানাতে ভুলবেন না। সেই সঙ্গে নিজে প্রতিদিন কী কী ওষুধ খান, মদ্যপান-ধূমপানের অভ্যাস রয়েছে কিনা তাও জানাবেন। যারা হেপাটাইটিস-সি তে ভুগছেন, যাদের পরিবারে কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ইতিহাস রয়েছে, ফুসফুসের কোনও সমস্যা রয়েছে তারা কিন্তু একটি সিটি স্ক্যান অবশ্যই করাবেন। বয়স ৫০ পার হলেই এই সবের উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।

 

নারীরা যে সব স্বাস্থ্য পরীক্ষার উপর জোর দেবেন-

১.স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা আছে কিনা তার জন্য একটা ম্যামোগ্রাফি করাতে পারেন।

২.সার্ভিক্যাল ক্যান্সার স্ক্রিনিং এর জন্য প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা

৩.কোলেস্টেরলের সমস্যা

৪.অস্টিওপোরেসিসের স্ক্রিনিং, পেটের স্ক্যান

ছেলেদের বিশেষ নজর দিতে হবে-

পেটের স্ক্যান ও প্রোস্টের পরীক্ষায়। সেই সঙ্গে ধূমপান কিন্তু ছাড়তেই হবে। ধূমপান, মদ্যপান থেকেই আসে যাবতীয় সমস্যা।সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ইসির ২ আইন সংস্কার প্রস্তাবের অনুমোদন

» কল্কির সিক্যুয়েল থেকেও বাদ পড়লেন দীপিকা

» সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

» বাংলাদেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি প্রত্যাখ্যান করেছে: টুকু

» বায়তুল মোকাররম এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ শুরু

» সীমানা বিরোধ: আদালতের রায়ের পর সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

» নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের একগুচ্ছ নির্দেশনা তারেক রহমানের

» দুটি ব্যাংকের তিনটি কার্ড ব্যবহার করে ৬ লাখ টাকা প্রতারণার, গ্রেফতার ১

» বাংলাদেশে সবচাইতে আগে জরুরি জাতীয় নির্বাচন : জিল্লুর রহমান

» শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা জুলাই গণহত্যার জন্য দায়ী— সাক্ষ্য নাহিদের

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সুস্থ থাকতে নিয়মিত যেসব স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি

স্বাস্থ্যসেবায় আগের থেকে অনেক বেশি পরিবর্তন এসেছে। রোগ নির্ণয় সহজ হয়েছে, মানুষ তার স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন হয়েছে। আগে অসুস্থতা নিয়ে মানুষ এত সচেতনও ছিল না। কিন্তু এখন মানুষের জীবনযাত্রায় এসেছে পরিবর্তন। এর ফলে সকলেই নজর দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর খাওয়া, শারীরিক কার্যকলাপের উপর। 

 

কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে কিন্তু সেই সচেতনতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। সকলেই চাইছেন বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা এড়িয়ে যেতে। যে কারণে কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাওয়ার দিকে ঝোঁক বেড়েছে। এমনকি, চিকিৎসকেরাও পরামর্শ দিচ্ছেন সুস্থ থাকতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাও খুবই জরুরি।

 

চিকিৎসকদের মতে- প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রেই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা খুবই জরুরি। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভাল। প্রাথমিক ভাবে কোনও রোগ ধরা পড়লে চিকিৎসা করাও তুলনায় সহজ। এছাড়াও অন্য কোনও সমস্যা থাকলে মানুষ আগে থেকেই সচেতন হয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। সেইমত খাওয়া, ওষুধপত্র এসব শুরু করে দেন। এর ফলে পরবর্তীতে জটিলতা অনেক কম আসে।

 

সকলে যাতে সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পান এবং দীর্ঘদিন সুস্থ থাকেন তার জন্য কিন্তু বার বার নিয়মিত হেলথ চেকআপের উপর জোর দিচ্ছেন সব বিশেষজ্ঞরা। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি আমাদের শরীরে কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা।
আজকাল ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড এসব সমস্যা ঘরে ঘরে। তাছাড়াও থাইরয়েড, গলব্লাডারের স্টোন, প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের সমস্যা এসবও বাড়ছে। কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়লেই কিন্তু হার্টের সমস্যা আসে। আসে ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও। আর যাদের ডায়াবেটিস, থাইরয়েড এবং ব্লাড প্রেসারের সমস্যা রয়েছে তাদের বছরে অন্তত দুইবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত।

 

চেকআপের সময় চিকিৎসককে কিন্তু নিজের রোগ সমস্যা বা পারিবারিক ইতিহাসে কোনও সমস্যা থাকলে তা জানাতে ভুলবেন না। সেই সঙ্গে নিজে প্রতিদিন কী কী ওষুধ খান, মদ্যপান-ধূমপানের অভ্যাস রয়েছে কিনা তাও জানাবেন। যারা হেপাটাইটিস-সি তে ভুগছেন, যাদের পরিবারে কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ইতিহাস রয়েছে, ফুসফুসের কোনও সমস্যা রয়েছে তারা কিন্তু একটি সিটি স্ক্যান অবশ্যই করাবেন। বয়স ৫০ পার হলেই এই সবের উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।

 

নারীরা যে সব স্বাস্থ্য পরীক্ষার উপর জোর দেবেন-

১.স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা আছে কিনা তার জন্য একটা ম্যামোগ্রাফি করাতে পারেন।

২.সার্ভিক্যাল ক্যান্সার স্ক্রিনিং এর জন্য প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা

৩.কোলেস্টেরলের সমস্যা

৪.অস্টিওপোরেসিসের স্ক্রিনিং, পেটের স্ক্যান

ছেলেদের বিশেষ নজর দিতে হবে-

পেটের স্ক্যান ও প্রোস্টের পরীক্ষায়। সেই সঙ্গে ধূমপান কিন্তু ছাড়তেই হবে। ধূমপান, মদ্যপান থেকেই আসে যাবতীয় সমস্যা।সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com