টিকিট কেটে নির্ধারিত আসনে গিয়ে বসেন। কন্ডাক্টরের নজরে যাতে তার পোষা মোরগটির ওপর না পড়ে, সেজন্য একটু আড়ষ্ট এবং সতর্কভাবেই বসেছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন, এভাবেই গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাবেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
বাস কিছু দূরে এগোতেই নড়াচড়া শুরু হয়ে যায় মোরগের। সেটিকে শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন আলি। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। অনেকক্ষণ ধরে আলির মধ্যে খানিক অস্বাভাবিকতা লক্ষ করছিলেন কন্ডাক্টর। তার কাছে যেতেই আসল রহস্য ফাঁস হয়।
কন্ডাক্টর দেখেন, আলির হাতে একটি শাড়ি। সেটি পোঁটলার মতো করা। আর সেই পোঁটলার ভিতরে কিছু একটা নড়াচড়া করছে। কন্ডাক্টর এবার চেপে ধরেন আলিকে। তাকে জিজ্ঞাসা করেন, কী আছে পোঁটলার মধ্যে। উপায় না দেখে আলি জানান, তার পোষা মোরগটিকে লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন এভাবে।
সঙ্গে সঙ্গে কন্ডাক্টর মোরগের ভাড়া হিসেবে ৩০ রুপি, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪ টাকা দিতে বলেন আলিকে। কেন ৩০ রুপি দিব, এ নিয়ে কন্ডাক্টরের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন আলি। কন্ডাক্টরও নাছোড়বান্দা। আলির কাছ থেকে অবশেষে পুরো টাকাটাই আদায় করে ছাড়েন কন্ডাক্টর।
গোদাবরীখানি বাস ডিপোর ম্যানেজার ভি ভেঙ্কটেশম জানিয়েছেন, করপোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী বাসে কোনও প্রাণীকে তোলা নিষিদ্ধ। কন্ডাক্টরের দেখা উচিত ছিল, কেউ কোনও প্রাণী নিয়ে উঠছেন কি না। কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি নজর রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। যারে ফলে ওই যাত্রী সহজেই লুকিয়ে মোরগটিকে নিয়ে বাসে উঠে পড়েছিলেন। তবে মোরগের জন্য টিকিট কাটা উচিত হয়নি বলেই জানিয়েছেন ডিপোর ম্যানেজার। সূত্র: ইন্ডিয়া ডটকম