চলতি মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দল তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। আগাম নির্বাচনের দাবিতে দেশটির ওয়াজিরাবাদ শহরে লংমার্চ করার সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালা এক দুর্বৃত্ত। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ইমরান খানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হামলায় পিটিআইয়ের এক সমর্থক নিহত হন। আহত হন দলটির কয়েকজন নেতাকর্মীও। এর পরপরই লংমার্চ স্থগিত করা হয়।
এদিকে, আবারও হামলার শিকার হতে পারেন ইমরান খান- এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক।
শুক্রবার ব্যবসায়ীদের করা একটি আপিলের শুনানির সময় গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাতে এ কথা বলেন তিনি।
জানা গেছে, ইসলামাবাদে পিটিআইয়ের বিক্ষোভের সময় রাস্তা অবরোধ নিয়ে ব্যবসায়ীদের করা একটি আপিলের ওপর শুক্রবার আদালতে শুনানি চলছিল। এ সময় সেখানে একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন পেশ করে পুলিশ। এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইমরান আবার লংমার্চে অংশ নিলে তার ওপর আরেকটি হামলা হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদে সভা–সমাবেশের জন্য পিটিআইকে নতুন করে আবেদন করতে বলেছেন বিচারপতি আমির ফারুক। একই সঙ্গে লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
হামলার শিকার হওয়ার পর ইমরান খান অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা জেনারেল ফয়সাল নাসির ওই ঘটনায় জড়িত।
তবে নিজের অভিযোগের পক্ষে কোনও প্রমাণ হাজির করেননি ইমরান খান। পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনীও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এদিকে হামলার পর ১০ নভেম্বর আবারও লংমার্চ শুরু হয়েছে। তবে সরাসরি অংশ নিতে পারেননি ইমরান। বর্তমানে তিনি লাহোরে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই সমর্থকদের উদ্দেশে ভার্চ্যুয়ালি ভাষণ দিচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি সপ্তাহেই লংমার্চে সশরীর উপস্থিত থাকবেন ইমরান। সূত্র: আল জাজিরা