বিএনপির সমালোচনা করে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, বিএনপি বলে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে। শ্রীলঙ্কা হলে কি তারা খুশি হবে? বাংলাদেশ ধ্বংস হলে ওরা খুশি হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি খুব মজবুত। বাংলাদেশ কখনও শ্রীলঙ্কা হবে না। প্রধানমন্ত্রী যে ধারায় উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছেন, তাতে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়া কিংবা সুইজারল্যান্ড হবে।
আজ জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ড. মুহম্মদ ইউনূস কীসের ডাক্তার। উনি পশুর ডাক্তার, না মাছের ডাক্তার; না গরুর ডাক্তার, না বাংলাদেশের মানুষের সর্বনাশার ডাক্তার? উনি নাকি শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, যত অশান্তি উনি বাংলাদেশে ঘটানোর জন্য। উনি দেশের পাই পয়সার উন্নতিও করেননি। ক্ষতি করে গেছেন। সুদ খাইয়েছেন, একজন সুদখোর।
ভ্যাকসিন কিনতে বিএনপির দুর্নীতির অভিযোগের জবাবে তিনি আরও বলেন, বিএনপি সব কিছুতেই দুর্নীতি খোঁজে। ওদের মাথার ভেতরে দুর্নীতি। ওদের রক্তে দুর্নীতি। সেজন্য ওরা সবকিছুতেই দুর্নীতি দেখে। অন্যকিছু চোখে ওদের পড়ে না।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মাণে বিভিন্ন দাতা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। জাপান, এডিবিসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা রাজি নয়। কিন্তু মাঝখানে একজন ডক্টর এসে ঢুকলেন। তারপর ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এসে বললো, দুর্নীতি হয়েছে। কী দুর্নীতি হয়েছে? এক পয়সাও দেয়নি। একটি টাকা দেয়নি, বলে দুর্নীতি হয়েছে। কী বিচিত্র! এরা মানুষের শত্রু।
সেলিম বলেন, ড. ইউনূস সাহেব আর বাংলাদেশে কিছু কথিত বুদ্ধিজীবী আছে। তারা সবসময় নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গির। বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাক, এরা কোনোদিন চিন্তা করে না।
অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে শেখ সেলিম বলেন, উনি (ড. ইউনূস) যে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে দিয়েছেন, এই টাকা কোত্থেকে দিয়েছেন। তা তদন্ত করুন। এটা মানি লন্ডারিংয়ের টাকা। বিশ্বব্যাংকের কাছে ও (ড. ইউনূস) বিক্রি। বিএনপিও কিছু বিদেশিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে পদ্মা সেতু বন্ধের চেষ্টা করেছে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বিএনপি কথায় কথায় সরকারকে টেনে নামায়। তারা (বিএনপি) আওয়ামী লীগকে ২০০৯ সাল থেকে টানা আরম্ভ করেছে। তোরা যত টানবি আমাদের ক্ষমতা তত বাড়বে। আজকে ২০২২ সালে এসেছি। আরেকবার টান দিলে আমরা ২০৫০ সালে চলে যাবো। তোরা থাক ব্যাটা।