শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পালানোর সময় বিপুল পরিমাণ থ্রি-পিস জব্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া চেকপোষ্টে দুই ভারতীয় যাত্রীর লাগেজ থেকে প্রায় ছয় লাখ টাকার ভারতীয় থ্রি-পিস ও শাড়ি জব্দ করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় শুল্ক গোয়েন্দা, কাস্টম্স ও এনএসআই’র যৌথ অভিযানে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পালানোর চেষ্টকালে ভারতীয় কাপড়ের এ বড় চালান ধরা পড়ে।

 

আখাউড়া স্থলবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতের পাসপোর্টধারী দুই নাগরিক আবির রায় ও হেমলাল মন্ডল ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্তপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। ইমিগ্রেশনে তাদের কাজ সম্পন্ন হলেও তারা ইমিগ্রেশন ত্যাগ না করে বড় আকারের ছয়টি লাগেজ নিয়ে অন্ধকারের মধ্যে যাত্রী ছাউনিতে বসে থাকেন।

 

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য জানতে পেরে কাস্টমস স্থল শুল্ক রাজস্ব কর্মকর্তা শাহ্ নোমান সিদ্দিকী ও কাস্টমস স্থল শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ ওই দুই ভারতীয় পাসপোর্টধারীকে কাস্টমস ভবনে নিয়ে আসেন। এসময় তাদেরকে সহযোগিতা করেন কাস্টম্স ও এনএসআই। পরে কাস্টমস হাউজে তাদের লাগেজ তল্লাশি করে বিভিন্ন ধরনের ২৮০টি থ্রি-পিস জব্দ করা হয়। যার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা। এসময় ওই ভারতীয় নাগরিকরা জানায় তারা কোলকাতা থেকে কাপড় নিয়ে এসেছে। এগুলো ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার হবে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস ধরে কিছু ভারতীয় নাগরিক ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ কাপড় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসছে।

 

অভিযোগ আছে, স্থানীয় কিছু লাগেজ পার্টি এর সাথে জড়িত। এরাই ভারতীয়দেরকে ব্যবহার করে এসব কাপড় বাংলাদেশে নিয়ে আসেছ। পরে বন্দর সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ম্যানেজ করে সরকারের লাখ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কাপড়গুলো নিয়ে যায়। আবার অনেক সময় কাস্টম্সে প্রবেশ না করে চোরাই পথে চলে যায়। এসব কাপড় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। এতে একদিকে দেশীয় কাপড়ের উপর প্রভাব পড়ছে অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে।

 

আখাউড়া কাস্টমস স্থল শুল্ক রাজস্ব কর্মকর্তা শাহ্ নোমান সিদ্দিকী বলেন, থ্রি-পিস গুলো নিয়ম বহির্ভূত হওয়ায় সেগুলো তালিকা (ডিএম) করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ৪-৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্টধারীরা চাইলে নির্ধারিত সকল ট্যাক্স পরিশোধের মাধ্যমে মালামাল গুলো নিয়ে যেতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে পণ্যগুলো না নিলে আমরা স্থায়ীভাবে জব্দ করে গোডাউনে পাঠিয়ে দিব।

 

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নির্বাচনকে ভয় পায় বলেই ষড়যন্ত্রের পথে বিএনপি: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী

» বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ পরিত্যক্ত

» বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের “ক্রস পার্টি পার্লামেন্টারি ডেলিগেশন” প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

» স্যামসাং গ্যালাক্সি এম১২: সাশ্রয়ী মূল্যে সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা

» দুবাইয়ে ‘প্রভাবশালী নারী’ অ্যাওয়ার্ড পেলেন আবিদা হোসেন

» বিয়ের আগেই হানিমুন উপভোগ করছেন মালাইকা

» বিএনপি এখন সড়ক দুর্ঘটনা নিয়েও রাজনীতি করছে: ওবায়দুল কাদের

» রাজধানীতে লিফটের ফাঁকা থেকে পড়ে নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু

» ব্রয়লার মুরগির দাম ৩০০ ছুঁই ছুঁই

» নির্যাতন-নিপীড়ন যত বাড়বে প্রতিবাদের গতি ততই তীব্র হবে: ফখরুল

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পালানোর সময় বিপুল পরিমাণ থ্রি-পিস জব্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া চেকপোষ্টে দুই ভারতীয় যাত্রীর লাগেজ থেকে প্রায় ছয় লাখ টাকার ভারতীয় থ্রি-পিস ও শাড়ি জব্দ করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় শুল্ক গোয়েন্দা, কাস্টম্স ও এনএসআই’র যৌথ অভিযানে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পালানোর চেষ্টকালে ভারতীয় কাপড়ের এ বড় চালান ধরা পড়ে।

 

আখাউড়া স্থলবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতের পাসপোর্টধারী দুই নাগরিক আবির রায় ও হেমলাল মন্ডল ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্তপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। ইমিগ্রেশনে তাদের কাজ সম্পন্ন হলেও তারা ইমিগ্রেশন ত্যাগ না করে বড় আকারের ছয়টি লাগেজ নিয়ে অন্ধকারের মধ্যে যাত্রী ছাউনিতে বসে থাকেন।

 

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য জানতে পেরে কাস্টমস স্থল শুল্ক রাজস্ব কর্মকর্তা শাহ্ নোমান সিদ্দিকী ও কাস্টমস স্থল শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ ওই দুই ভারতীয় পাসপোর্টধারীকে কাস্টমস ভবনে নিয়ে আসেন। এসময় তাদেরকে সহযোগিতা করেন কাস্টম্স ও এনএসআই। পরে কাস্টমস হাউজে তাদের লাগেজ তল্লাশি করে বিভিন্ন ধরনের ২৮০টি থ্রি-পিস জব্দ করা হয়। যার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা। এসময় ওই ভারতীয় নাগরিকরা জানায় তারা কোলকাতা থেকে কাপড় নিয়ে এসেছে। এগুলো ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার হবে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস ধরে কিছু ভারতীয় নাগরিক ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ কাপড় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসছে।

 

অভিযোগ আছে, স্থানীয় কিছু লাগেজ পার্টি এর সাথে জড়িত। এরাই ভারতীয়দেরকে ব্যবহার করে এসব কাপড় বাংলাদেশে নিয়ে আসেছ। পরে বন্দর সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ম্যানেজ করে সরকারের লাখ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কাপড়গুলো নিয়ে যায়। আবার অনেক সময় কাস্টম্সে প্রবেশ না করে চোরাই পথে চলে যায়। এসব কাপড় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। এতে একদিকে দেশীয় কাপড়ের উপর প্রভাব পড়ছে অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে।

 

আখাউড়া কাস্টমস স্থল শুল্ক রাজস্ব কর্মকর্তা শাহ্ নোমান সিদ্দিকী বলেন, থ্রি-পিস গুলো নিয়ম বহির্ভূত হওয়ায় সেগুলো তালিকা (ডিএম) করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ৪-৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্টধারীরা চাইলে নির্ধারিত সকল ট্যাক্স পরিশোধের মাধ্যমে মালামাল গুলো নিয়ে যেতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে পণ্যগুলো না নিলে আমরা স্থায়ীভাবে জব্দ করে গোডাউনে পাঠিয়ে দিব।

 

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :

Design & Developed BY ThemesBazar.Com