‘শিশু বক্তা’ রফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আলোচিত ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ দুজনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি রফিকুল ইসলামের জামিন আবেদন নাকচ করেন।

 

বুধবার ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামস জগলুল হোসেন অভিযোগপত্র আমলে নেন। এই মামলার শুনানির জন্য আদালত আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।

রফিকুল ইসলাম রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেননি উল্লেখ করে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেন। গত বছরের এপ্রিল থেকে রফিকুল কারাবন্দি।

 

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত। তবে এই মামলার অপর আসামি মাহমুদুল হাসানকে আদালত স্থায়ী জামিন দিয়েছেন।

 

গত বছরের ৮ এপ্রিল সৈয়দ আদনান শান্ত নামে একজন ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন।

 

মামলটির তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় মোহাম্মদ আমজাদ, এইচএম লোকমান এবং তৌহিদ ইসলামের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেন।

 

পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মো. রেজাউল করিম এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। গত বছরের ৬ নভেম্বর তিনি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন।

 

গত বছরের ২৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় থেকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ভ্রমণের প্রতিবাদে করা কর্মসূচি থেকে তাকে আটক করা হয়েছিল। কিছু সময় পরে তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়।

 

ঐ বছরের ৭ এপ্রিল র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন তাকে নেত্রকোণার পূর্বতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এর আগে তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়। তার বিরুদ্ধে গাজীপুর ও তেজগাঁও থানায় তার বিরুদ্ধে আরো ৩টি মামলা দায়ের হয়েছে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ডিইউজের শ্রদ্ধা

» বিএমএম এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

» আজকের এই স্বাধীনতা**

» ইসলামপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

» বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

» পাঁচবিবিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

» ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি

» স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সাকিব-তামিমরা

» কারিনা ‘আউট’, পূজা ‘ইন’

» ঈদে অনলাইনে যেভাবে কাটবেন ট্রেনের টিকিট

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

‘শিশু বক্তা’ রফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আলোচিত ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ দুজনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি রফিকুল ইসলামের জামিন আবেদন নাকচ করেন।

 

বুধবার ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামস জগলুল হোসেন অভিযোগপত্র আমলে নেন। এই মামলার শুনানির জন্য আদালত আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।

রফিকুল ইসলাম রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেননি উল্লেখ করে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেন। গত বছরের এপ্রিল থেকে রফিকুল কারাবন্দি।

 

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত। তবে এই মামলার অপর আসামি মাহমুদুল হাসানকে আদালত স্থায়ী জামিন দিয়েছেন।

 

গত বছরের ৮ এপ্রিল সৈয়দ আদনান শান্ত নামে একজন ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন।

 

মামলটির তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় মোহাম্মদ আমজাদ, এইচএম লোকমান এবং তৌহিদ ইসলামের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেন।

 

পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মো. রেজাউল করিম এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। গত বছরের ৬ নভেম্বর তিনি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন।

 

গত বছরের ২৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় থেকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ভ্রমণের প্রতিবাদে করা কর্মসূচি থেকে তাকে আটক করা হয়েছিল। কিছু সময় পরে তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়।

 

ঐ বছরের ৭ এপ্রিল র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন তাকে নেত্রকোণার পূর্বতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এর আগে তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়। তার বিরুদ্ধে গাজীপুর ও তেজগাঁও থানায় তার বিরুদ্ধে আরো ৩টি মামলা দায়ের হয়েছে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :

Design & Developed BY ThemesBazar.Com