কেরানিগঞ্জ থেকে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম ওরফে শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর তার স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেল এবং গাড়িচালক ফরহাদকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব। বর্তমানে র্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে তাদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করছে।
মঙ্গলবার সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে জানান, অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
শিমু ছিলেন রাজধানীর গ্রিনরোডের বাসিন্দা। কলাবাগান থানা পুলিশ জানায়, রবিবার (১৬ জানুয়ারি) অভিনেত্রী শিমুর অভিভাবকরা নিখোঁজ সংক্রান্তে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।পরে জিডি অজ্ঞাত নামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার কেরানীগঞ্জ থেকে বস্তাবন্দি একটি লাশ উদ্ধার করে।
শিমুর অভিভাবকদের জানানোর পর তারা লাশটিকে শনাক্ত করে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মিডফোর্ড হাসাপাতালে আছে।
১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৫ সিনেমায় অভিনয় করেন শিমু। তিনি কাজী হায়াতের ‘বর্তমান’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন। পরে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, চাষি নজরুল ইসলাম, শরিফ উদ্দিন খান দিপুসহ আরো বেশ কিছু পরিচালকের সিনেমায় কাজ করেন।
গত দুই বছর ধরে এফডিসি যাতায়াত ছিলো শিমুর। শিল্পী সমিতি কর্তৃক ১৮৪ জন ভোটাধিকার হারানো শিল্পীর মধ্যে ছিলেন। ভোটাধিকার রক্ষার বিভিন্ন আন্দোলনে তাকে এফডিসিতে পাওয়া যেত।
কয়েকবছর ধরে একটি বেসরকারি টিভির মার্কেটিং বিভাগে কর্মরত ছিলেন শিমু। টুকটাক নাটকে কাজ করতেন। পাশাপাশি তার নিজের নাটক নির্মাণের প্রোডাকশন হাউজ ছিলো বলে জানা যায়।