শতাধিক ব্যক্তির লাখো টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন চন্দ্রশেখর

নাম তার চন্দ্রশেখর মিস্ত্রি (৪২)। নিজেকে পরিচয় দিতেন প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিএস, সেনাবাহিনী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার। আর এসব পরিচয়ে শতাধিক লোকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।

 

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নাজনীনবাগ এলাকা থেকে চন্দ্রশেখর মিস্ত্রিকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে চাকরি প্রার্থীর সিভি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরির বিজ্ঞপ্তি, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের বদলির আবেদন, সরকারি স্কুল-কলেজের ভর্তির আবেদন, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম, একাধিক সিল, ৬টি মোবাইল, ৪টি ডেবিট কার্ড ও বিভিন্ন ব্যাংকের চেক জব্দ করা হয়।

 

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গ্রেফতার চন্দ্রশেখর মিস্ত্রি সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে নিয়োগ, বদলি, স্কুল কলেজে ভর্তি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রেরণ, গণভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ পাস ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে শতাধিক লোকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। তার আসল নাম চন্দ্রশেখর মিস্ত্রি হলেও তিনি নিজেকে শেখর নামে পরিচয় দিতেন।

po

ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার আরও বলেন, গত ২০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিফ কম্পট্রোলার পরিচয়ে চন্দ্রশেখর ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করে একজন ছাত্রকে ভর্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন অধ্যক্ষ। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

 

চন্দ্রশেখর মিস্ত্রি মোবাইলে নিজেকে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেওয়ার আগে, ওই কর্মকর্তার কণ্ঠ নকল করার প্র্যাকটিস করতেন। এরপর অবিকলভাবে কথা বলতেন তার মতো করে। আর এভাবেই করতেন প্রতারণা। তার মোবাইল ফোনের কললিস্ট পর্যালোচনা করে এসব তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে।

 

এর আগেও চন্দ্রশেখর মিস্ত্রি ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় গ্রেফতার হয়েছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, তার সঙ্গে এই প্রতারণার কাজে আর কারা জড়িত তা জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে। এখন পর্যন্ত চন্দ্রশেখর মিস্ত্রি শতাধিক লোকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে জানা গেছে।

 

চন্দ্রশেখরের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এর আগেও তিনি প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম,

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» পাউরুটি কীভাবে খেলে ওজন কমবে?

» সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে টাইগাররা

» প্রকাশ্যে ক্যাটরিনার বেবিবাম্প!

» সহোদর দুই ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা

» অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, বিএনপিকে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে: ফখরুল

» পূজার ছুটিতে পূর্বাঞ্চলে চলবে ৪ জোড়া স্পেশাল ট্রেন

» কিমা পুরি তৈরির রেসিপি

» এই সরকার অবশ্যই বৈধ তবে ১০৬ অনুচ্ছেদের কারণে নয় : শিশির মনির

» দেশের অশুভ শক্তিরা নির্বাচন ভন্ডুল করতে চায় : আযম খান

» কোস্ট গার্ডের অভিযানে কোটি টাকার ওষুধ জব্দ

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

শতাধিক ব্যক্তির লাখো টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন চন্দ্রশেখর

নাম তার চন্দ্রশেখর মিস্ত্রি (৪২)। নিজেকে পরিচয় দিতেন প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিএস, সেনাবাহিনী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার। আর এসব পরিচয়ে শতাধিক লোকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।

 

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নাজনীনবাগ এলাকা থেকে চন্দ্রশেখর মিস্ত্রিকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে চাকরি প্রার্থীর সিভি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরির বিজ্ঞপ্তি, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের বদলির আবেদন, সরকারি স্কুল-কলেজের ভর্তির আবেদন, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম, একাধিক সিল, ৬টি মোবাইল, ৪টি ডেবিট কার্ড ও বিভিন্ন ব্যাংকের চেক জব্দ করা হয়।

 

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গ্রেফতার চন্দ্রশেখর মিস্ত্রি সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে নিয়োগ, বদলি, স্কুল কলেজে ভর্তি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রেরণ, গণভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ পাস ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে শতাধিক লোকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। তার আসল নাম চন্দ্রশেখর মিস্ত্রি হলেও তিনি নিজেকে শেখর নামে পরিচয় দিতেন।

po

ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার আরও বলেন, গত ২০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিফ কম্পট্রোলার পরিচয়ে চন্দ্রশেখর ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করে একজন ছাত্রকে ভর্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন অধ্যক্ষ। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

 

চন্দ্রশেখর মিস্ত্রি মোবাইলে নিজেকে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেওয়ার আগে, ওই কর্মকর্তার কণ্ঠ নকল করার প্র্যাকটিস করতেন। এরপর অবিকলভাবে কথা বলতেন তার মতো করে। আর এভাবেই করতেন প্রতারণা। তার মোবাইল ফোনের কললিস্ট পর্যালোচনা করে এসব তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে।

 

এর আগেও চন্দ্রশেখর মিস্ত্রি ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় গ্রেফতার হয়েছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, তার সঙ্গে এই প্রতারণার কাজে আর কারা জড়িত তা জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে। এখন পর্যন্ত চন্দ্রশেখর মিস্ত্রি শতাধিক লোকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে জানা গেছে।

 

চন্দ্রশেখরের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এর আগেও তিনি প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম,

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com