বাংলাদেশের মানবাধিকার রক্ষায় উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিলেও বিএনপি কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি বলে আবারও দাবি করলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
একজন প্রবাসী বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন এমন তথ্য দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘একজন প্রবাসী বাংলাদেশি কর্তৃক লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি আজ আমাদের দলের ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে এই সরকার।
বাংলাদেশের ওপর ব্যবস্থা নিতে, এমনকি নিষেধাজ্ঞা দিতে বিএনপি বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করেছে বলে অনেকদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছিল সরকারের নীতিনির্ধারকরা। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
সেখানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একজন প্রবাসী বাংলাদেশি কর্তৃক লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি আজ আমাদের দলের ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। আমরা বলতে চাই, দেশের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রবাসী কোনো পদক্ষেপ কোথাও নেয়, দেশের প্রতি তার ভালোবাসার জন্য যদি কিছু করে, সে পদক্ষেপ দায়িত্ব তার, বিএনপির নয়।’ তবে সেই প্রবাসীর উদ্যোগে বিএনপির সমর্থন আছে বলেও জানান ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওই পদক্ষেপকে নৈতিক সমর্থনের দায়িত্ব বাদে অন্য কোনো দায় দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। তবে বিশ্বের দেশে দেশে প্রবাসীদের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার রক্ষার জন্য এ ধরনের দেশপ্রেমিক পদক্ষেপকে বিএনপি সাধুবাদ জানায় এবং তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।’
বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের চিঠি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ফখরুল বলেন, বিদেশে লেখা আমার ওই চিঠিসমূহ কোনো লবিস্ট নিয়োগের বিষয় নয়, মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান মাত্র।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে কথা বলছেন সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী। এই চিঠি দেখিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। আপনারা (গণমাধ্যমকর্মীরা) দেখুন, ওই চিঠি কাকে লেখা হয়েছিল এবং চিঠির বিষয় বস্তু কী ছিল।
দেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশিদের চিঠি দেওয়ার কারণ জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার সকল ব্যক্তিবর্গকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্থল, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সবচেয়ে বড় ভ্যানগার্ড। আর তাই, বিএনপি তার আন্দোলন সংগ্রামের অংশ হিসাবেই দেশের উন্নয়ন অংশীদারদের সমর্থন চায়, মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ চায়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে দেশি-বিদেশি সব অংশীদারদের এই সরকারের সকল অপকর্ম সম্পর্কে অবগত করে রাখতে চায়।
ফখরুল দাবি করেন, বিদেশে লেখা তার ওই চিঠিগুলো কোনো লবিস্ট নিয়োগের বিষয় নয়, মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান মাত্র।