লবণে প্লাস্টিকের উপস্থিতি, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ

বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রতি কেজি লবণে গড়ে ২ হাজার ৬৭৬টি মাইক্রোপ্লাস্টিক রয়েছে। ফলে দেশের মানুষ যে হারে লবণ গ্রহণ করে তাতে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৩ হাজার ৮৮টি মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণ করে। এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে ‘প্রলিফেরেশন অব মাইক্রোপ্লাস্টিক ইন কমার্শিয়াল সি সল্ট ফ্রম দ্য ওয়ার্ল্ড লংগেস্ট সি বিচ অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণায়।

 

এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ানো ও নীতি কার্যক্রম প্রণয়ন করার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। মানবদেহের ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম এই উপাদান লবণ থেকে অপসারণ করা না গেলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হবে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

 

গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশে বাণিজ্যিকভাবে বিপণন হয় এমন ১৩টি ব্র্যান্ডের লবণের বিভিন্ন পরিমাণ নিয়ে পরীক্ষাগারে যাচাই-বাছাই করা হয়। এরমধ্যে ১০টি হলো দেশের স্বনামধন্য কোম্পানির ও তিনটি স্থানীয় পর্যায়ের রিফাইনারির। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

গবেষণা শেষে দেখা যায়, দেশের উৎপাদিত লবণে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি এত বেশি যে, বাছাইকৃত দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ দেশ বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত নমুনায় সর্বনিম্ন ৩৯০ ও সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৪০০ মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া যায়। দেশের ভালো ব্র্যান্ডের লবণেও উচ্চমাত্রায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। গবেষণা দলের প্রধান ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. শফি এম তারেক বলেছেন, লবণ থেকে শুরু করে মাছের পেটেও এর উপস্থিতি মিলছে। মানুষ যেখানেই প্লাস্টিকের দূষণ করুক না কেন, তা একপর্যায়ে সাগরে গিয়ে পৌঁছায়। এটি পানির স্রোত ও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অনেকদিন ধরে ভাঙে। ভাঙা অংশগুলো আবার সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ভেঙে আরও ক্ষুদ্র হয়। তখন এগুলো ন্যানো, ম্যাক্রো ও মাইক্রোপ্লাস্টিকে পরিণত হয়। এ ভাঙা অংশ থেকে বিসফিনলে নামের রাসায়নিক দ্রব্য নির্গত হয়, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তিনি বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক দেশের স্বাস্থ্য সমস্যার অন্যতম ক্ষতির কারণ হবে। তাই দ্রুত প্লাস্টিক দূষণের হার শূন্যে নামিয়ে আনার ওপর জোর দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ানো ও নীতি কার্যক্রম প্রণয়ন করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি) মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাজ মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। সকলে যেন নিরাপদ খাদ্য পেতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করছি। লবণ নিয়ে যারা গবেষণা করেছে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবো। আগে তাদের গবেষণার উৎস সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। পরবর্তীতে আবারো গবেষণার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে জানানো হবে। আমরা চাই চিহ্নিত করতে। যদি প্রমাণিত হয় তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। অনেক সময় দেখা যায়, সঠিক পদ্ধতিতে গবেষণা পরিচালনা না করার কারণে অনেকের গবেষণায় শেষ পর্যন্ত ভুল প্রমাণিত হয়। ফলে পুনরায় গবেষণা পরিচালনা করলে সঠিক তথ্যটা জানা যাবে।
গবেষণাটির তথ্য নিয়ে লবণ মিল মালিক সমিতির সদস্যরা বলেছেন, কোম্পানিগুলো বিএসটিআইয়ের মানদ- অনুসারে লবণ উৎপাদন ও বিপণন করছে। তবে বিএসটিআইয়ের মানদ-ে মাইক্রোপ্লাস্টিকের সহনীয় মাত্রার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। যদি কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়, তাহলে তারা সেগুলো পরিপালন করবেন।

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) রসায়ন পরীক্ষণ উইং এর পরিচালক গৌরাঙ্গ শেখর পোদ্দার বলেন, লবণে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। সামুদ্রিক মাছ ও বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। যেহেতু লবণের উৎস সমুদ্রের পানি সেহেতু লবণেও পাওয়া যেতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএসটিআই গবেষণার কাজ করে না। প্রতিটি পণ্যের স্ট্যান্ডার্ড মান যাচাই করা আমাদের কাজ।
এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, যে কয়টি উপাদান মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টি করে তার মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক অন্যতম। এ ধরনের মাইক্রো লেভেলের প্লাস্টিক রক্তে মিশে অস্থি, মেরুদ- ও হৃদযন্ত্রে যেয়ে আটকে যেতে পারে। ফলে, প্রতিনিয়ত মানুষ যদি এটা খেতে থাকে তাহলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। তিনি বলেন, শুধুমাত্র মানুষ না। অন্য বিভিন্ন প্রাণিকেও লবণ খাওয়ানো হয়ে থাকে। এসব প্রাণির মাধ্যমেও আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এ ধরনের লবণ গরুকে খাওয়ানো হলে একসময় গরুর দুধের মধ্যেও ক্ষতিকর মাইক্রোপ্লাস্টিক চলে আসতে পারে। সে দুধ খেলে আমাদেরও ক্ষতি হবে। সূএ:মানবজমিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ‘বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ পেল ৬ কর্পোরেট ও ৩ ব্যক্তি

» শীতের আমেজে চলছে অপো এ৫৮ এ মূল্য হ্রাস

» আবারও শীর্ষ ভ্যাটদাতার তালিকায় নগদ

» আইএবি এর স্বীকৃতি পেলো বাংলাদেশ ইউনিভাসির্টির স্থাপত্য বিভাগ

» তরুণদেরকে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে উৎসাহিত করছে বাংলালিংক

» ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৩

» ভোটের মাঠে থাকবে সেনাবাহিনীও: ইসি আলমগীর

» অভিনেত্রী হিমুর মৃত্যু : মামলার প্রতিবেদন ১০ জানুয়ারি

» ভারতে আঘাত হানার আগেই মিগজাউমের দাপটে নিহত ৮

» শরিকদের নিয়ে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।(দপ্তর সম্পাদক)  উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

লবণে প্লাস্টিকের উপস্থিতি, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ

বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রতি কেজি লবণে গড়ে ২ হাজার ৬৭৬টি মাইক্রোপ্লাস্টিক রয়েছে। ফলে দেশের মানুষ যে হারে লবণ গ্রহণ করে তাতে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৩ হাজার ৮৮টি মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণ করে। এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে ‘প্রলিফেরেশন অব মাইক্রোপ্লাস্টিক ইন কমার্শিয়াল সি সল্ট ফ্রম দ্য ওয়ার্ল্ড লংগেস্ট সি বিচ অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণায়।

 

এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ানো ও নীতি কার্যক্রম প্রণয়ন করার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। মানবদেহের ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম এই উপাদান লবণ থেকে অপসারণ করা না গেলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হবে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

 

গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশে বাণিজ্যিকভাবে বিপণন হয় এমন ১৩টি ব্র্যান্ডের লবণের বিভিন্ন পরিমাণ নিয়ে পরীক্ষাগারে যাচাই-বাছাই করা হয়। এরমধ্যে ১০টি হলো দেশের স্বনামধন্য কোম্পানির ও তিনটি স্থানীয় পর্যায়ের রিফাইনারির। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

গবেষণা শেষে দেখা যায়, দেশের উৎপাদিত লবণে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি এত বেশি যে, বাছাইকৃত দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ দেশ বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত নমুনায় সর্বনিম্ন ৩৯০ ও সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৪০০ মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া যায়। দেশের ভালো ব্র্যান্ডের লবণেও উচ্চমাত্রায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। গবেষণা দলের প্রধান ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. শফি এম তারেক বলেছেন, লবণ থেকে শুরু করে মাছের পেটেও এর উপস্থিতি মিলছে। মানুষ যেখানেই প্লাস্টিকের দূষণ করুক না কেন, তা একপর্যায়ে সাগরে গিয়ে পৌঁছায়। এটি পানির স্রোত ও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অনেকদিন ধরে ভাঙে। ভাঙা অংশগুলো আবার সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ভেঙে আরও ক্ষুদ্র হয়। তখন এগুলো ন্যানো, ম্যাক্রো ও মাইক্রোপ্লাস্টিকে পরিণত হয়। এ ভাঙা অংশ থেকে বিসফিনলে নামের রাসায়নিক দ্রব্য নির্গত হয়, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তিনি বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক দেশের স্বাস্থ্য সমস্যার অন্যতম ক্ষতির কারণ হবে। তাই দ্রুত প্লাস্টিক দূষণের হার শূন্যে নামিয়ে আনার ওপর জোর দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ানো ও নীতি কার্যক্রম প্রণয়ন করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি) মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাজ মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। সকলে যেন নিরাপদ খাদ্য পেতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করছি। লবণ নিয়ে যারা গবেষণা করেছে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবো। আগে তাদের গবেষণার উৎস সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। পরবর্তীতে আবারো গবেষণার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে জানানো হবে। আমরা চাই চিহ্নিত করতে। যদি প্রমাণিত হয় তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। অনেক সময় দেখা যায়, সঠিক পদ্ধতিতে গবেষণা পরিচালনা না করার কারণে অনেকের গবেষণায় শেষ পর্যন্ত ভুল প্রমাণিত হয়। ফলে পুনরায় গবেষণা পরিচালনা করলে সঠিক তথ্যটা জানা যাবে।
গবেষণাটির তথ্য নিয়ে লবণ মিল মালিক সমিতির সদস্যরা বলেছেন, কোম্পানিগুলো বিএসটিআইয়ের মানদ- অনুসারে লবণ উৎপাদন ও বিপণন করছে। তবে বিএসটিআইয়ের মানদ-ে মাইক্রোপ্লাস্টিকের সহনীয় মাত্রার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। যদি কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়, তাহলে তারা সেগুলো পরিপালন করবেন।

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) রসায়ন পরীক্ষণ উইং এর পরিচালক গৌরাঙ্গ শেখর পোদ্দার বলেন, লবণে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। সামুদ্রিক মাছ ও বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। যেহেতু লবণের উৎস সমুদ্রের পানি সেহেতু লবণেও পাওয়া যেতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএসটিআই গবেষণার কাজ করে না। প্রতিটি পণ্যের স্ট্যান্ডার্ড মান যাচাই করা আমাদের কাজ।
এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, যে কয়টি উপাদান মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টি করে তার মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক অন্যতম। এ ধরনের মাইক্রো লেভেলের প্লাস্টিক রক্তে মিশে অস্থি, মেরুদ- ও হৃদযন্ত্রে যেয়ে আটকে যেতে পারে। ফলে, প্রতিনিয়ত মানুষ যদি এটা খেতে থাকে তাহলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। তিনি বলেন, শুধুমাত্র মানুষ না। অন্য বিভিন্ন প্রাণিকেও লবণ খাওয়ানো হয়ে থাকে। এসব প্রাণির মাধ্যমেও আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এ ধরনের লবণ গরুকে খাওয়ানো হলে একসময় গরুর দুধের মধ্যেও ক্ষতিকর মাইক্রোপ্লাস্টিক চলে আসতে পারে। সে দুধ খেলে আমাদেরও ক্ষতি হবে। সূএ:মানবজমিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।(দপ্তর সম্পাদক)  উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com