লন্ডনে বাংলাদেশি গার্ডেনার্স সোসাইটির (বিজিএস) বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। সম্প্রতি সুইন্ডনের লিডিয়ার্ড পার্কে জাঁকজমকপূর্ণ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে সবুজ-শ্যামল দেশ তুলে ধরতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বিজিএস। বিদেশের মাটিতে দেশি শাক-সবজি, ফলমূল ও বাগান তৈরিতে দুই বছর ধরে কাজ করছে সংগঠনটি।
প্রবাসীরা জানান, বিজিএসের উদ্যোগে লন্ডনের মাটিতে উৎপাদন হচ্ছে দেশি লাউ, কুমড়া, শশা, চিচিঙ্গা, ঢেড়স, লাল শাক, ডাটা শাক, সরিষা শাক, বেলি ফুল, গন্ধরাজ, হাস্নাহেনা ও কামিনীসহ নানা বাংলাদেশি গাছ।
বিদেশের মাটিতে বাগান তৈরি করতে মানুষকে উৎসাহিত করেছে সংগঠনটি। বিজিএসের কয়েকজন নিঃস্বার্থ নিবেদিত কর্মীর পরিশ্রম ও ভালোবাসায় দিন দিন তাদের সদস্য সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বর্তমানে বিজিএসের সদস্য সংখ্যা ৮ হাজার ৫২৯ জন।
বিজিএসের সদস্যরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিজের বাড়িতে একটি হলেও দেশি গাছ লাগাতে উৎসাহ দিচ্ছে। বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে দেশটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলাদেশিরা জমায়েত হন। উপভোগ করেন চমৎকার একটি মুহূর্ত। এ যেন এক টুকরো বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে বাংলা গানে মঞ্চ মাতিয়ে তোলেন প্রবাসী শিল্পীরা। এ সময় ঘরে বানানো পিঠা, হালুয়া, দেশি রসগোল্লা, চিকেন বারবিকিউ, ল্যাম বিরিয়ানি, ড্রিঙ্কসসহ নানান দেশি খাবারের আয়োজন করা হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে র্যাফেল ড্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। ড্রতে প্রথম পুরস্কার হিসেবে ছিল লাউ ধরে থাকা একটা লাউ গাছ। র্যাফেলের সব টাকা জমা হয়েছে গ্রিন শেল্টার নামে ‘বিজিএসের চ্যারিটি ফান্ডে’।
বিদেশের বেড়ে ওঠা ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে দেশীয় সবুজের পরিচয় জানান দিতে মূলত সংগঠনটির যাত্রা। বিজিএসের সদস্যদের বাড়ির বাগানে জন্মানো গাছ দেখে এখন অনেক ব্রিটিশ প্রতিবেশীরাও জানে বাংলাদেশের লাউ, করলা, কিংবা সন্ধ্যা মালতির নাম।
সবুজের সঙ্গে বিজিএসের এই সখ্যতা দিন দিন আরও গাঢ় হোক, এমনটাই প্রত্যাশা করছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।