রাজধানীতে খালের সীমানা নির্ধারণের পর তার ভেতরে থাকা সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ঢাকা ওয়াসা থেকে খালগুলো হস্তান্তর করার পরই দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র সেগুলো দখলমুক্ত এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কাজ করছেন। এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। উচ্ছেদ অভিযান কাজ চলমান রয়েছে।
বুধবার রাজধানীর কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ড এলাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে থাকা ২৯টি খাল ও একটি রেগুলেটরি পন্ডের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, এরই মধ্যে অনেক খাল উদ্ধার করা হয়েছে। রাজধানীকে একটি বাসযোগ্য ও দৃষ্টিনন্দন শহর হিসেবে গড়তে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উভয় সিটি করপোরেশনের মেয়র নিরলসভাবে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে কল্যাণপুরের এই এলাকায় সরকার ১৭৩ একর জায়গা অধিগ্রহণ করেছে ওয়াটার রিটেনশন পন্ড নির্মাণ করার জন্য। কিন্তু তিন একর ছাড়া বাকি জমি দখল হয়েছে। বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণ করার পর এর ভেতর থাকা সব স্থাপনা উদ্ধার করে পানির প্রবাহ ঠিক করা হবে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সব জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা এবং সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। এরই মধ্যে রামচন্দ্রপুরসহ অনেকগুলো খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন। সাধারণ মানুষ পাশে থাকলে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, অতীতের ব্যর্থতা ও সফলতার বিচার বিশ্লেষণ না করে সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ঢাকার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হলে জনগণের সমর্থন প্রয়োজন। জনসমর্থন আদায়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।
তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের উন্নয়নে প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের সার্বিক সহযোগিতায় দেশে অনেক বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে মানুষের আস্থা এবং প্রত্যাশা অনেক বেশি। প্রকল্পটির কাজ বাংলাদেশের গর্বিত এই প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়া হয়েছে। আমি আশা করি তারা সফলতার সঙ্গে এটি সম্পন্ন করবেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই, যোগ করেন তাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এসময় উত্তর সিটি করপোরেশন, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।