স্প্রে ক্যানন’, যা অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ। এটি দিয়ে অনেক উঁচু ও দূর পর্যন্ত পানি ছিটানো যায়। এতে করে বাতাসের সঙ্গে উড়তে থাকা ধুলোবালি পানির সঙ্গে নিচে নেমে আসে। ফলে আশপাশের কয়েক মিটার এলাকার ধুলোবালির দৌরাত্ম্য কমে যায়।
রাজধানী ঢাকায় বায়ুদূষণ কমাতে ইতোমধ্যে দুটি ‘স্প্রে ক্যাননের’ ব্যবহার হয়েছে। গতকাল ও আজ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এই দুটির মাধ্যমে পানি ছিটিয়েছে। শনিবার বনানী-উত্তরায় এর মাধ্যমে পাটি ছিটানোর চিত্র দেখা গেছে।
প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এমন দু’টি মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনে উত্তরা, বিমানবন্দর, মিরপুর, গাবতলী, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পনি ছিটানো হয়।
সংস্থাটির জনসংযোগ বিভাগ জানায়, পুরো ডিএনসিসি এলাকাকে দুইটি অংশে ভাগ করে পানি ছিটানো হচ্ছে। বনানী নেভি গেট থেকে স্প্রের কাজ শুরু করবে ক্যানন-১। এয়ারপোর্ট, উত্তরা হাউস বিল্ডিং হয়ে আবার বনানী কবরস্থান এলাকায় এসে কাজ শেষ করবে।
অন্যদিকে ক্যানন-২ মিরপুর রোড/মাজার রোড সিগন্যাল থেকে স্প্রের কাজ শুরু করে। এরপর গণভবন এলাকায়, মানিক মিয়া এভিনিউ, বিজয় স্মরণি, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ফার্মগেট, কাওরানবাজার হয়ে গাবতলী গিয়ে পানি ছিটানো শেষ করে।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জার্মান থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দু’টি স্প্রে ক্যানন গাড়ি আমদানি করে ডিএনসিসি। এ গড়িতে মূলত বায়ুদূষণ কমাতে স্প্রে করে পানি ছিটানো হয়। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টা ব্যাপী স্প্রে করতে পারে। এ ছাড়া রাস্তা ভেজানোর জন্যও রয়েছে স্প্রিং লেয়ার সিস্টেম।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রচণ্ড হাওয়া তৈরি করে পানির রিং এর ভেতর দিয়ে পরিচালনা করে। প্রবল বাতাসের ধাক্কায় পানি ছোট ছোট কণার মতো করে অনেক উঁচু ও অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। এতে করে বাতাসের সঙ্গে উড়তে থাকা ধুলোবালি কণার সঙ্গে নিচে নেমে আসে। মুহূর্তেই থেমে যায় আশপাশের কয়েক মিটার এলাকার ধুলোবালির দৌরাত্ম্য।,