আসন্ন পবিত্র রমজানে যাতে মানুষের ভোগান্তি না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। কেউ অপকৌশল গ্রহণের মাধ্যমে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করলে বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বুধবার এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জনবান্ধব সরকার। তাই জনগণের যে কোনো দুঃখ-দুর্দশায় সরকার যথাসময়ে সাড়া দেয়। সরকার দ্রব্যমূল্যের ব্যাপারেও বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
‘পাশাপাশি স্বল্প আয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে টিসিবি’র মাধ্যমে সারাদেশে মূল্য সহায়তা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে। প্রায় ৫ কোটি জনগণ এই সহায়তা পাবে। অন্যদিকে সরবরাহ চেইন জোরদার করা হয়েছে। মনিটরিং ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
যেকোন ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করার অপচেষ্টা বিএনপির মজ্জাগত স্বভাব মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিএনপির অপরাজনীতি মাঠে মারা গেছে।
এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের শতভাগ জনগণ আজ বিদ্যুৎ সেবার আওতায় এসেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে সুনির্দিষ্ট নীতির উপরে রাষ্ট্র পরিচালনা করে চলেছেন। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে না, তারা এর সুফল দেখতে পায় না। বিএনপির মন ও মগজে দুর্নীতি আর লুটপাট।
সরকারের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে বিএনপির গাত্রদাহ হয় মন্তব্য করে কাদের বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের প্রতিটি ঘর আজ বিদ্যুতের আলোয় উদ্ভাসিত। এই আলোতেও বিএনপি বরাবরের ন্যায় অন্ধকার দেখে। বিএনপির চোখে যে কোনো উপায়ে শুধু ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র। সাংবিধানিক রীতি-নীতি, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও নির্বাচনের প্রতি কোনো শ্রদ্ধাবোধ না দেখিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা ক্ষমতা দখল করতে চায়।
‘ইসির সঙ্গে সংলাপে তাদের কোন আগ্রহ নেই’ বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো প্রকার সংলাপের চেয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অন্ধকারের পথ অবলম্বনই বিএনপির একমাত্র কৌশল। একইসাথে সকল প্রকার গণতান্ত্রিক পদ্ধতির প্রতি নিজেদের অনাগ্রহের ভূত বিএনপি আজ জাতির ওপর চাপাতে চায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আমলেই দেশে লুটপাটের স্বর্গরাজ্য ও দুর্নীতির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। তারা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। বিএনপি দেশকে দুর্নীতিতে পরপর ৫ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের কলঙ্ক তিলক পরিয়েছিল। অন্যদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনায় অনিয়ম ও দুর্নীতির কোন প্রশ্রয় নেই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। দুর্নীতিবাজ যে-ই হোক, তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।