স্বাধীনতার ১০০ বছর পূরণের কথা মাথায় রেখে ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। মোট সাতটি উদ্দেশ্যের ওপর ভিত্তি করে এই বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।
বক্তৃতায় নির্মলা বলেন, ২০৪৭ সাল পর্যন্ত সপ্তর্ষির মতো ভারতকে পথ দেখাবে এই বাজেটের সাতটি উদ্দেশ্য। ভারতের সব মানুষকে একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, উন্নতির শেষ সীমা পর্যন্ত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এই বাজেট।
সাত উদ্দেশের মধ্যে প্রথম হলো দেশের সার্বিক উন্নতি। সেই সঙ্গে দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছনোর কথা শোনা গেলো অর্থমন্ত্রীর মুখে। এছাড়াও সবুজ ভারত গড়ে তুলতে কৃষিকাজের ওপর জোর দেওয়া হবে। কৃষকদের সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেবে কেন্দ্র। দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার দিকে জোর দেবে এই বাজেট। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নানা ক্ষেত্রে পরিকাঠামো গড়ার কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে। সেই সঙ্গে যুবসমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও তাদের প্রতিভার সম্পূর্ণ বিকাশ ঘটানোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
তাছাড়া জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ ও উত্তর পূর্বের উন্নতিসহ নারী, যুব সমাজের উন্নতির কথা বলা হয়েছে এই বাজেটে। সেই সঙ্গে দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদিবাসী উন্নতির জন্য ১৫ হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ করলো কেন্দ্র।
বাজেটে ভারতের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ১০ লাখ কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে, যা মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। দেশকে উন্নতির চরমে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করে অর্থমন্ত্রী আবাস যোজনায় বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা জানালেন। প্রথমবার ৭৯ হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ করা হলো প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। দেশটির যুবসমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে একলব্য স্কুলে ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। রেলের জন্য বরাদ্দ হয়েছে দুই লাখ ৪০ হাজার কোটি রুপি।
দূষণমুক্ত ভারত গড়ে তুলতে ম্যনগ্রোভ অরণ্য তৈরি, পুরনো গাড়ি বাতিলসহ একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। পি এম কৌশল বিকাশ যোজনার মাধ্যমে যুবসমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে।