মুখ খুললেন সারা

১৯৯১ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সাইফ আলি খান ও অমৃতা সিং। নব্বইয়ের দশকে নবাবপুত্র সাইফের বিয়ে নিয়ে যেমন ঝড় উঠেছিল বি-টাউনে, ঠিক বিবাহ-বিচ্ছেদের খবরেও নড়ে গিয়েছিল টিনসেল টাউন। মাত্র ২০ বছর বয়সে অমৃতার সঙ্গে সংসার পেতে ২ সন্তানের জন্ম দিয়েও বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি টেনেছিলেন সাইফ। বর্তমানে ৪ সন্তানের বাবা তিনি। সম্প্রতি বাবা সাইফ আলি খান এবং মা অমৃতা সিংয়ের বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সারা আলি খান। ২০০৪ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাইফ। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সারা আলি খান বলেন, একই বাড়িতে দুজন মানুষ একসঙ্গে সুখী হতে না পারলে আলাদা বাড়িতে থাকলে যদি তারা সুখী থাকে তাহলে তাদের তাই করা উচিত। কী কারণে ২ সন্তান থাকার পরও বিচ্ছেদের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা ফাঁস করলেন সারা আলি খান।

 

সম্প্রতি সারা জানিয়েছেন, আমি আমার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকি। মা আমার সবকিছু। তবে বাবার সঙ্গেও দারুণ বন্ধুত্ব। যখনই ফোন করি বাবাকে পাই কিংবা ইচ্ছা হলে বাবার কাছে গিয়েও ঘুরে আসি।

সারা বলেন, আসলে সত্যি বলতে কী মা ও বাবা দুজনে একসঙ্গে মোটেই সুখী ছিলেন না। ওনাদের খুশি থাকার মেজাজটাই হারিয়ে গিয়েছিল। তাই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তই ভালো বলে আমার মনে হয়। এতে ওরাই যেমন ভালো রয়েছে তেমনই আমি ও ভাই দিব্যি আছি।

সারা বলেন, যেকোনো দম্পতির কাছে দুটি অপশন থাকে। প্রথম নিজেরা ভালো না থেকেও সারাজীবন একসঙ্গে থাকা। এবং দ্বিতীয়টি হলো বিবাহ বিচ্ছেদ।

আর মা ও বাবা সেটাই করেছে। এখন সকলেই খুশিতে রয়েছেন। সারা বলেন, সাইফের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরই মা অনেক বেশি প্রাণোচ্ছ্বল। সারার মতে, বাবা ও মায়ের বিচ্ছেদ হলেই সন্তানের জীবন নষ্ট হয়ে যায় না। বরং বাবা ও মা আলাদা থেকে খুশি হলে সন্তানের জীবনে আনন্দ আসে। ১৯৯১ সালে অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় সাইফ আলি খানের। তারপর ২০০৪ সালেই বিচ্ছেদ। বিচ্ছেদের ৮ বছর পর ২০১২ সালে কারিনা কাপুরকে বিয়ে করেন সাইফ। বতর্মানে ২ সন্তান তৈমুর ও জেহকে নিয়ে সুখী পরিবার কারিনা-সাইফের।
উল্লেখ্য, সাইফের দ্বিতীয় স্ত্রী অর্থাৎ সারার সৎ মা কারিনা কাপুরের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে সারার। মাঝেমধ্যেই তাদের শপিং, রেস্টুরেন্টেও দেখা যায়।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নতুন মায়েরা সকালে এই ৫ সুপারফুড খান

» হার্ট অ্যাটাক পরবর্তী ১ থেকে ২ ঘণ্টা কেন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

» বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার ক্যাভিয়ার আসলে কী?

» এশিয়া কাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশ, ফাইনালে ভারত

» মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষক নিহত

» সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা ও আয়ের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

» সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল

» অলিম্পিক উদ্বোধনের আগে ফ্রান্সের রেল নেটওয়ার্কে ভয়াবহ হামলা

» যুবলীগ কর্মী জুয়েলকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা

» কেন বিষাক্ত মানুষদের ছেঁটে ফেলতে বললেন পরিণীতি?

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মুখ খুললেন সারা

১৯৯১ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সাইফ আলি খান ও অমৃতা সিং। নব্বইয়ের দশকে নবাবপুত্র সাইফের বিয়ে নিয়ে যেমন ঝড় উঠেছিল বি-টাউনে, ঠিক বিবাহ-বিচ্ছেদের খবরেও নড়ে গিয়েছিল টিনসেল টাউন। মাত্র ২০ বছর বয়সে অমৃতার সঙ্গে সংসার পেতে ২ সন্তানের জন্ম দিয়েও বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি টেনেছিলেন সাইফ। বর্তমানে ৪ সন্তানের বাবা তিনি। সম্প্রতি বাবা সাইফ আলি খান এবং মা অমৃতা সিংয়ের বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সারা আলি খান। ২০০৪ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাইফ। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সারা আলি খান বলেন, একই বাড়িতে দুজন মানুষ একসঙ্গে সুখী হতে না পারলে আলাদা বাড়িতে থাকলে যদি তারা সুখী থাকে তাহলে তাদের তাই করা উচিত। কী কারণে ২ সন্তান থাকার পরও বিচ্ছেদের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা ফাঁস করলেন সারা আলি খান।

 

সম্প্রতি সারা জানিয়েছেন, আমি আমার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকি। মা আমার সবকিছু। তবে বাবার সঙ্গেও দারুণ বন্ধুত্ব। যখনই ফোন করি বাবাকে পাই কিংবা ইচ্ছা হলে বাবার কাছে গিয়েও ঘুরে আসি।

সারা বলেন, আসলে সত্যি বলতে কী মা ও বাবা দুজনে একসঙ্গে মোটেই সুখী ছিলেন না। ওনাদের খুশি থাকার মেজাজটাই হারিয়ে গিয়েছিল। তাই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তই ভালো বলে আমার মনে হয়। এতে ওরাই যেমন ভালো রয়েছে তেমনই আমি ও ভাই দিব্যি আছি।

সারা বলেন, যেকোনো দম্পতির কাছে দুটি অপশন থাকে। প্রথম নিজেরা ভালো না থেকেও সারাজীবন একসঙ্গে থাকা। এবং দ্বিতীয়টি হলো বিবাহ বিচ্ছেদ।

আর মা ও বাবা সেটাই করেছে। এখন সকলেই খুশিতে রয়েছেন। সারা বলেন, সাইফের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরই মা অনেক বেশি প্রাণোচ্ছ্বল। সারার মতে, বাবা ও মায়ের বিচ্ছেদ হলেই সন্তানের জীবন নষ্ট হয়ে যায় না। বরং বাবা ও মা আলাদা থেকে খুশি হলে সন্তানের জীবনে আনন্দ আসে। ১৯৯১ সালে অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় সাইফ আলি খানের। তারপর ২০০৪ সালেই বিচ্ছেদ। বিচ্ছেদের ৮ বছর পর ২০১২ সালে কারিনা কাপুরকে বিয়ে করেন সাইফ। বতর্মানে ২ সন্তান তৈমুর ও জেহকে নিয়ে সুখী পরিবার কারিনা-সাইফের।
উল্লেখ্য, সাইফের দ্বিতীয় স্ত্রী অর্থাৎ সারার সৎ মা কারিনা কাপুরের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে সারার। মাঝেমধ্যেই তাদের শপিং, রেস্টুরেন্টেও দেখা যায়।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com