মালয়েশিয়াস্থ সরকারি অগ্রণী হাউসের মাধ্যমে দেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ দুজন প্রবাসী বাংলাদেশিকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন, মালয়েশিয়ার সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান, অন্যজন, ব্যবসায়ী অহিদুর রহমান অহিদ। এরই মধ্যে এ দুইজনকে বাংলাদেশ সরকার সিআইপি (এনআরবি) ঘোষিত হয়েছেন এবং এনআরবি পদক পেয়েছেন।
এর আগে, ১৮ ডিসেম্বর হাইকমিশন আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়া থেকে বৈধপথে দেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ প্রবাসী বাংলাদেশিকে দেওয়া হয় সম্মাননা পদক।
সম্মাননাপ্রাপ্ত প্রবাসীরা হলেন, মো. মকবুল হোসাইন মুকুল, প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম খোকন, মো. ফয়সাল আহমেদ, আহমেদ সাদী ইয়ামিন, মো. হাবিব, জামান মোহাম্মদ বাহাদুর খাঁন, মো. আমিনুর রহমান,আলি আহমেদ, মো. আব্দুছ ছাবুর।
অনুষ্ঠানে অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউসের ১৭ বছর পূর্ণের কেক কাটছেন, হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার
সরকারের পাশাপশি এ ধরনের সম্মাননা ও প্রণোদনা প্রবাসীদের বৈধপথে দেশে অর্থ পাঠাতে উৎসাহিত করে বলে প্রবাসীরা মনে করেন।
অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের মালিকানাধীন মালয়েশিয়াস্থ অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউস ১৭ বছর পূর্ণ করেছে। এ উপলক্ষে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার গ্র্যান্ড মিলেনিয়াম হোটেলে মালয়েশিয়া থেকে অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউসের মাধ্যমে বৈধপথে দেশে সর্বোচ্চ অর্থ পাঠানো ব্যক্তিদের সম্মাননা দেওয়া হয়।
সম্মাননা দেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার, অগ্রণী ব্যাংক ও অগ্রণী রেমিট্যান্স হাইসের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত।
অনুষ্ঠানে সম্মাননা পদক প্রাপ্তদের সঙ্গে হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার, অগ্রণী ব্যাংক ও অগ্রণী রেমিট্যান্স হাইসের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত, মিনিস্টার শ্রম মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোরশেদুল কবীরসহ অন্যান্য কর্মকর্মকর্তা
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হাইকমিশনের শ্রম মিনিস্টার ও অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউসের ডাইরেক্টর মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোরশেদুল কবীর, প্রস্তাবিত ডাইরেক্টর জায়মান আহমেদ, চিফ অ্যাক্সিকিউটিভ অফিসার ও ডাইরেক্টর সুলতান আহমেদ, অপারেশন ম্যানেজার মো. মনজুর মোর্শেদুল ইসলাম, ম্যানেজার ফাইন্যান্স মো. মুস্তাফিজুররহমান, কমপ্লাইন্স অফিসার মো. খায়রুল আনোয়ার ও প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম খোকন।
২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে মালয়েশিয়ায় যাত্রা শুরু করে অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউস। এরপর থেকে কিভাবে বৈধপথে দেশে রেমিট্যান্স বাড়ানো যায় সে লক্ষ্যে রেমিট্যান্স প্রেরণে সচেতনতামূলক বিভিন্ন সভা সেমিনার করে যাচ্ছেন হাউসের সংশ্লিষ্টরা। অগ্রণী রেমিট্যান্সের ৬টি শাখার পাশাপাশি এজেন্ট নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। মালয়েশিয়া থেকে রেমিট্যান্স আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অগ্রণী রেমিটেন্স হাউসের কর্মকর্তারা।
মালয়েশিযায় বাংলাদেশি মালিকানাধীন সিটি ব্যাংকের সিটি রেমিট্যান্স হাউজ, ন্যাশনাল ব্যাংকের ন্যাশনাল ব্যাংক রেমিটেন্স হাউজ রয়েছে। অন্যান্য রেমিট্যান্স হাউজের মাধ্যমে দেশে অর্থ পাঠানো অনুরূপ সম্মাননা ও সুবিধা প্রাপ্তি প্রত্যাশা করেন প্রবাসীরা।