স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে বর্তমান সরকার মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের পাশাপাশি নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বুধবার আলজেরিয়ার ডেপুটি স্পিকার ও আলজেরিয়া-বাংলাদেশ ফেন্ডশিপ কমিটির চেয়ারম্যান ইউসুফ আজিছার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় স্পিকার এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা আলজেরিয়া-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, ১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত চতুর্থ জোট নিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলন, দুইদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ১৯৭৩ সালের ৫ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় রাষ্ট্র আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে চতুর্থ জোট নিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়তে সবাইকে এক হয়ে শোষিতের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। ফলশ্রুতিতে, সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সদস্যপদ দিতে জোট নিরপেক্ষ দেশগুলোর জোর সমর্থনের কথা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেই থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে আলজেরিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলজেরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভিত স্থাপন করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়েছে।
বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে আলজেরিয়ার ডেপুটি স্পিকার ইউসুফ আজিছা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
আলজেরিয়াতে বাংলাদেশ দূতাবাস থাকলেও বাংলাদেশে আলজেরিয়ার দূতাবাস নেই বিধায়, এ বিষয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন ইউসুফ আজিছা।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আলজেরিয়াকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি ও সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।