বাংলার মানুষকে বিপদে ফেলতে বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, বিএনপির কষ্ট হচ্ছে কেন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো হচ্ছে না? তাদের মনের চিন্তা বাংলার মানুষ মঙ্গাপীড়িত থাকবে, অশিক্ষিত থাকবে, চিকিৎসা সেবা পাবে না, বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এগুলো করতে করতে তারা (বিএনপি) বাংলার মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা বাংলার মানুষকে বিপদে ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে। এসব ষড়যন্ত্র থেকে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
বুধবার মানিকগঞ্জের আরিচায় বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার বেইজ উদ্বোধন উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর নৌপথ খননের জন্য ৭টি ড্রেজার এনেছিলেন। এরপর দীর্ঘসময় সরকারি ড্রেজার আসেনি। নৌপথ খননের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ৪০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে। আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গত ৪০ বছরে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার শাসন আমলে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কোনো উন্নয়ন করেনি, উন্নয়নের বিষয়টি উপলব্ধিও করেনি। বঙ্গবন্ধুর রক্তের যোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছেন। গত ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে ইমার্জিং টাইগারে পরিণত হয়েছে।
বিএনপি বাংলার মানুষকে হৃদয়ে ধারণ করে না। তারা বাংলার মানুষকে শোষণ করার জন্য রাজনীতি করে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের বিস্ময়। বিশ্ববাসী উন্নয়ন কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করে।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী, শিবালয় উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান খান জানু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কুদ্দুস।
উল্লেখ্য, দ্রুত ও স্বল্প সময়ে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজারসমূহ মেরামত, সংরক্ষণ ও অপারেশনে সহায়তার লক্ষ্যে সরকার দেশে পাঁচটি ‘ড্রেজার বেইজ’ স্থাপন করছে। আজ মানিকগঞ্জের আরিচায় ড্রেজার বেইজ উদ্বোধন করা হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আরিচায় ড্রেজার বেইজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ ড্রেজার বেইজটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। এতে তিন তলা অফিস ভবন, দোতলা স্টাফ ডরমেটরি, একটি ওয়ার্কশপ রয়েছে।
আরিচায় ড্রেজার বেইজটি আরিচা এলাকাসহ রাজবাড়ী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এলাকায় নৌপথ খননে তদারকি সহজতর হবে। আরিচায় ফেরি, লঞ্চঘাটসহ অন্যান্য ঘাটগুলোর ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারি আরিচায় অবস্থান করে
সার্বক্ষণিক ও সুষ্ঠুভাবে বন্দর কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।
মানিকগঞ্জের আরিচা ছাড়াও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও নারায়ণগঞ্জে ড্রেজার বেইজ চালু হয়েছে। বরিশাল ও খুলনায় ড্রেজার বেইজ উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। নতুন আরও ছয়টি ড্রেজার বেইজ নির্মাণের কার্যক্রম চলছে।