সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ার কারণে ইলেকট্রিক বাইকের (ই-বাইক) চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাড়ছে ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদাও। কিন্তু সবার তো আর ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার সামর্থ নেই। তাই অনেকেই ইলেকট্রিক বাইক কেনার পরিকল্পনা করছেন। অনেকের আবার সাইকেল আছে। যেটাকে ইলেকট্রিক সাইকেলে রূপান্তরিত করতে চান। এজন্য বাজারে ইলেকট্রিক সাইকেল কনভার্সন কিট পাওয়া যায়। যার দাম ৫-১০ হাজার টাকা। এগুলো ইনস্টল করা বেশ ঝক্কির কাজ। এই কাজটি সহজ করতে ভারতের এক ব্যক্তি উদ্ভাবনী একটি ডিভাইস উদ্ভাবন করেছেন। ডিভাইসটি সাধারণ সাইকেলে লাগালে ইলেকট্রিক সাইকেলে রূপ নেবে।
সম্প্রতি মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা কোম্পানির মালিক আনন্দ মাহিন্দ্র তার টুইটারে ইলেকট্রিক সাইকেলের নতুন এই ডিভাইসের ছবি ও ভিডি শেয়ার করছেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যে হৈচৈ পড়ে গেছে। ভাইরাল হয়েছে পোস্টটি।
আনন্দ মাহিন্দ্রা তার টুইটার অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা ভিডিওতে গুরসৌরভ সিং নামের এক ব্যক্তিকে একটি সাধারণ সাইকেলকে ইলেকট্রিক সাইকেলে বদলে ফেলতে দেখা যায়। এই ভিডিওর মাধ্যমে গুরসৌরভ ইলেকট্রিক সাইকেলের স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন।
এছাড়াও ভিডিওতে দেখানো হয়েছে কীভাবে একটি সাধারণ সাইকেলকে শুধুমাত্র একটি ডিভাইসের সাহায্যে ইলেকট্রিক সাইকেলে রূপান্তর করা যায়। গুরসৌরভ দাবি করেছেন যে এই ডিভাইসটি ওয়াটার প্রুফ এবং ফায়ার প্রুফ।
এই ইলেকট্রিক সাইকেলের প্রশংসা করতে গিয়ে আনন্দ মাহিন্দ্রাও গুরসৌরভের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সেই সাইকেলের স্পেসিফিকেশন ব্যাখ্যা করে আনন্দ মাহিন্দ্রা জানিয়েছেন, পৃথিবীতে এমন কোনও ডিভাইস নেই যা সাইকেলে মোটরকে ফিট করে, তবে এতে বিশেষ কিছু রয়েছে যা একে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে।
আনন্দ মাহিন্দ্র নিজেই টুইটে সাইকেলটির ফিচার সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন। তিনি তার টুইটে লিখেছেন, এই ইলেকট্রিক সাইকেলটিতে ভালো ডিজাইন কমপ্যাক্ট আছে। যা কাদায় বা এবড়োখেবড়ো রাস্তায় সহজেই যাতায়াত করতে পারবে। এছাড়াও এই সাইকেলটি অত্যন্ত নিরাপদ, এতে ফোন চার্জিং পোর্টের মতো ফিচারও রয়েছে।
এই ইলেকট্রিক সাইকেল এ লাগানো ডিভাইসটি আনন্দ মাহিন্দ্রাসহ অনেকের মন জয় করেছে। আনন্দ মাহিন্দ্রা এতে বিনিয়োগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আনন্দ মাহিন্দ্রা টুইট করেছেন এবং লিখেছেন যে এটি ব্যবসায়িক হিসাবে সফল হবে বা লাভ দেবে এমন নয়, তবে এই ডিভাইসে বিনিয়োগ করা আমার জন্য গর্বের বিষয় হবে।
উদ্ভাবনী এই ডিভাইস একটি সাধারণ সাইকেলকে ২৫ কিমি/ঘন্টা গতিসম্পন্ন ইলেকট্রিক সাইকেলে রূপান্তরিত করে। এছাড়াও, এই ডিভাইসটি ইনস্টল করার পরে, ইলেকট্রিক সাইকেলের রেঞ্জ ৪০ কিলোমিটার এবং পেলোড ক্ষমতা ১৭০ কেজি হয়ে যায়।
ভিডিওটি দেখুন এই লিংকে ক্লিক করে। সূএ: ঢাকা মেইল ডটককম