চাঁদপুরে এ বছর কৃষকের যে পরিমাণ মরিচ উৎপাদনের ধারণা ছিল, তার চাইতে বেশি হয়েছে। এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই এ অঞ্চলের কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি।
চাঁদপুর কৃষি বিভাগ থেকে জানা গেছে, এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৪২০ মে.টন ও চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯০০ হেক্টর। এবার উৎপাদন ও চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ মরিচ উৎপাদন হয়েছে।
চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণের তথ্য মতে, উৎপাদন ও চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে জানা যায়। জেলার সকল উপজেলার মধ্যে চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও মতলবের চরাঞ্চলগুলোতে অতিমাত্রায় মরিচ আবাদ হয়েছে।
খামার বাড়ি চাঁদপুরের সূত্র মতে জানা গেছে, চাঁদপুর সদরে চাষাবাদ ২১০ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ৩৭৮ মে.টন, মতলব উত্তরে চাষাবাদ ৫২০ হেক্টর এবং উৎপাদন ৯৩৬ মে.টন, মতলব দক্ষিণে চাষাবাদ ৭০ হেক্টর এবং উৎপাদন ১৬২ মে.টন। হাজীগঞ্জে চাষাবাদ ৯০ হেক্টর এবং উৎপাদন ১৬২ মে.টন, শাহারাস্তিতে চাষাবাদ ২০ হেক্টর এবং উৎপাদন ৩৬ মে.টন, কচুয়া চাষাবাদ ৬৫ হেক্টর এবং উৎপাদন ১৮৭ মে.টন । ফরিদগঞ্জে চাষাবাদ ৪৫ হেক্টর এবং উৎপাদন ৮১ মে.টন এবং হাইমচরে চাষাবাদ ৮৮০ হেক্টর এবং উৎপাদন ১ হাজার ৫৮৪ মে.টন।
সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার জানান, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর মরিচের ফলন ভাল হয়েছে। আমরা কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে কাজ করেছি।
সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের কৃষক সোবহান বেপারী, জহির শেখসহ কয়েকজন জানান, চরাঞ্চলে এবার মরিচের ফলন ভাল হওয়ায় আমরা আনন্দিত ও অনেক খুশি।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বলেন, চাঁদপুরের সকল উপজেলার মধ্যে চাঁদপুর সদর, নদীর পশ্চিমে হাইমচর ও উত্তরে মতলবের চরাঞ্চলগুলোতে মরিচের ভাল আবাদ হয়েছে। আমরা সময়মত কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছি।