আর্থিক এবং শারীরিক ইবাদত হজ। আর নারীদের জন্য অতিরিক্ত শর্ত মাহরাম আবশ্যক। শারীরিক সঙ্গতির সঙ্গে বর্তমানে হজ পালনে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। পবিত্র নগরী মক্কার হারাম সীমানায় সামান্য ভুলে যে কারো হজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই হজ পালনে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। তাহলে মক্কায় হজ পালনেচ্ছুদের জন্য যেসব কাজ নিষিদ্ধ; সেগুলো কী?
অনেকেই আছেন যাদের ওপর হজ ফরজ নয়; কিন্তু আল্লাহর প্রেমে সাড়া দিতে অনেক কষ্ট করে হজ পালনে পবিত্র নগরী মক্কায় যান। এক্ষেত্রে তাদের জন্য আরো বেশি সতর্ক হওয়া জরুরি। কারণ হজ তাদের জন্য ফরজ ছিল না। যখনই হজের নিয়তে বের হবে, আর কোনো কারণে হজ পরিপূর্ণ না হলে তাদের জন্য পুনরায় হজ করা আবশ্যক হয়ে যাবে। চাই ওই ব্যক্তির সামর্থ থাকুক কিংবা না থাকুক।
মক্কায় যেসব কাজ করা যাবে না
পবিত্র নগরী মক্কার হারাম সীমানয় হজ পালনেচ্ছুদের জন্য যেসব কাজ করা নিষিদ্ধ; তা তুলে ধরা হলো-
১. শিকারযোগ্য যে কোনো হালাল জানোয়ার হত্যা করা হারাম।
২. শিকারযোগ্য প্রাণী হত্যার জন্য অস্ত্র সরবরাহ কিংবা ইসারা-ইঙ্গিত করে দেখিয়ে দেওয়ার দ্বারা সাহায্য করাও হারাম।
৩. হারাম সীমানায় গাছ কাটা এমনকি তাজা ঘাস কাটা বা ছেঁড়াও হারাম।
৪. হারাম সীমানায় কোনো জিনিস পড়ে থাকলে সেটা ওঠানোও যাবে না। তবে ওই ব্যক্তি তা ওঠাতে পারবে; যে তার প্রকৃত মালিকের সন্ধান দিতে পারবে। হাদিসে পাকে এসেছে-
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন, ‘এই শহর অর্থাৎ মক্কা নগরী আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ায় কেয়ামতের দিন পর্যন্ত হারাম। উহার গাছ কাটা, শিকারযোগ্য জানোয়ারকে ধাওয়া করা এবং তাজা ঘাস কাটা যাবে না; পড়ে থাকা দ্রব্য-সামগ্রীও ওঠানো যাবে না; কেবল ওই ব্যক্তি ছাড়া, যে উহার হারানো বস্তু সম্বন্ধে যথারীতি প্রচার ও ঘোষণা করতে প্রস্তুত থাকবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
মনে রাখতে হবে
এ কাজগুলো শুধু কাবা শরিফের চত্বরেই নয়, বরং মিনা-মুজদালিফাও হারাম সীমানার অন্তর্ভূক্ত। তবে আরাফাতের ময়দান হারাম সীমানার অন্তর্ভূক্ত নয়।
সুতরাং হজপালনেচ্ছুদের এ বিষয়গুলোর ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক অবলম্বন করা জরুরি। যেন কোনোভাবেই মক্কার হারাম সীমানায় এসব কাজ সংঘটিত না হয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হজ ও ওমরা পালনের নির্ধারিত দিন ও সময়ে হারাম সীমানায় হারামের মর্যাদা রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। হারাম সীমানা নিষদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম