প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র নামে ভুয়া সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগে ৩টি ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মো. সাইদুর রহমানসহ গ্রেফতার ৬ জনকে দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল্লাহ শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজামুদ্দিন ফকির বিষয়টি জানিয়েছেন।
অপর পাঁচ আসামি হলেন- নুরুল হক সরকার ওরফে শেখ মনি সরকার (৭২), মোয়াজ্জেম হোসেন (৫৮), ডা. মো. সাইদুর রহমান ওরফে নজরুল (৩০), মাহফুজুর রহমান মাহফুজ (৩৭), ডা. মো. আমান উল্লাহ (৩৮) ও দেবাশীষ কুণ্ডু (৫২)।
আসামি মধ্যে সাইদুর রহমান প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, পিচ ব্লেন্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও পিস ল্যান্ড ইউনিভার্সিটি নামে ৩টি ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
এদিন ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ সময় আসামিপক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, রাজধানীর মালিবাগের প্যারামাউন্ট টাওয়ারে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ১ সহযোগীসহ ৪ ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তারকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে অসংখ্য ভুয়া সনদপত্র, টেস্টিমোনিয়াল, ট্রান্সক্রিপ্ট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, অ্যাডমিট কার্ড, কয়েকটি নকল সিল জব্দ করা হয়।
এছাড়া ৪টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, ভুয়া সনদ প্রদানের বিজ্ঞাপনের পেপার কাটিং ও লিফলেট, প্রেসক্রিপশন, অসংখ্য ভিজিটিং কার্ড, নব দিগন্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ডক্টরস চেম্বারের কপি, একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, একটি কিবোর্ড ও একটি প্রিন্টার জব্দ করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চক্রটি প্রায় ২ দশক ধরে ‘প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’ নামে ভুয়া সার্টিফিকেট বিক্রির ব্যবসা করে আসছিল। প্রতারণার কাজে তারা ভুয়া ওয়েবসাইট, বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভুয়া আদেশ ও হাইকোর্টের জাল রিট প্রদর্শন করে।
তারা এমবিবিএস, বিডিএস, এমফিল, পিএইচডি, ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাডভোকেটশিপসহ ১৪৪টি বিষয়ের ওপরে অসংখ্য ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়ার নামে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করা হয়েছে।