ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়কে অবশ্যম্ভাবী করতে তারা অসামান্য অবদান রেখেছিল।– শুক্রবার বিকাল তিনটায় নাটোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পঞ্চম বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারত অনন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সারা বিশ্বে জনমত তৈরি করেছিল। আমাদের এক কোটি মানুষকে তারা আশ্রয় দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর পরাজয়কে তরান্বিত করেছিল। এদেশের মানুষ ভারতের অবদানকে কৃতজ্ঞ চিত্তে আজীবন মনে রাখবে।
দেশবিরোধী একটি অশুভ চক্র বাংলাদেশে ভারতবিদ্বেষী মনোভাব তৈরির অপচেষ্টা করছে বলেও উল্লেখ করেন পলক। কিন্তু সেই অপচেষ্টা কখনো সফল হবে না বলেও তিনি সাফ জানিয়ে দেন।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম বকুল, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পন্ডিত, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান। পরে সকলে নাটোর উত্তরা গণভবন পরিদর্শন করেন।
এদিনের সভায় জানানো হয়, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর’, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী’ এবং ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন’ উপলক্ষে আগামী ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের মন্ত্রী পরিষদের চার সদস্যসহ ৪০ সদস্য এবং বাংলাদেশের শিল্পীসা-সাহিত্যিকদের সমন্বয়ে রাজশাহী ও নাটোরে মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা ভূমি, প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন পরিদর্শন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
এ উপলক্ষ্যে দুই দেশের প্রতিনিধিদল আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি নাটোরের রাণীভবানী রাজবাড়ি ও উত্তরা গণভবন পরিদর্শনসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করবেন। নাটোরে ৫০টি মৈত্রী বৃক্ষও রোপন করা হবে।