ছবি সংগৃহীত
প্রত্যাশার বেলুন উড়িয়ে ভারত সফরে গেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের এবারের সফর নিয়ে প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। কদিন আগেই পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হারানোর পর স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে ক্রিকেট ভক্তরা। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি শুরু হবে।
আসন্ন টেস্ট সিরিজের আগে বেশ কিছু মাইলফলকের হাতছানি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। প্রথম টেস্টের ভেন্যু চেন্নাইয়ে ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে টিম টাইগার্স। টেস্ট ফরম্যাটে এখনও ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ১৩ টেস্ট খেলে ১১টিতে হার এবং দু’টি টেস্ট ড্র করেছে টাইগাররা। ড্র হওয়া টেস্ট দু’টির বেশিরভাগ সময় বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল।
এই সিরিজ দিয়ে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের সামনে। ইতোমধ্যে নয়টি দেশের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছে টাইগাররা। ভারতকে হারাতে পারলে বাংলাদেশের জয়ের সংখ্যা দুই অঙ্কে পা রাখবে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত মাইলফলকের হাতছানিও আছে ক্রিকেটারদের।
মুশফিকুর রহিম
তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান স্পর্শ করতে ৯ রান দূরে রয়েছেন দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। এক্ষেত্রে শীর্ষে আছেন গত বছর থেকে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা ওপেনার তামিম ইকবাল। তার রান ১৫,১৯২। আর মুশফিকের রান ১৫,১৮৪। দারুণ ছন্দে থাকায় ভারতের বিপক্ষে সিরিজেই তামিমের রেকর্ড দখলে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ মুশফিকের সামনে।
তাইজুল ইসলাম
সাকিব আল হাসানের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টেস্টে ২শ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করার সুযোগ থাকছে বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের। এজন্য ৫ উইকেট প্রয়োজন তার। পাকিস্তান সিরিজেই এই রেকর্ড স্পর্শ করার সুযোগ ছিল তাইজুলের সামনে। কিন্তু টিম কম্বিনেশনের কারণে কোনো ম্যাচই খেলার সুযোগ পাননি তাইজুল।
মেহেদী হাসান মিরাজ
ভারতের বিপক্ষে সিরিজে ৭ উইকেট শিকার করলেই বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার হিসেবে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩শ’ উইকেটের মালিক হবেন পাকিস্তান সিরিজের সেরা খেলোয়াড় স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। এই তালিকায় সবার ওপরে আছেন সাকিব। তার শিকার ৭০৮টি উইকেট। পরের দু’টি স্থানে আছেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা ও মুস্তাফিজুর রহমান। মাশরাফি ৩৮৯ ও মুস্তাফিজ ৩২৩টি উইকেট শিকার করেছেন।
ইতিহাস গড়ার সামনে শান্ত
কমপক্ষে ৫ ম্যাচ বাংলাদেশের অধিনায়ক হয়েছেন এমন অধিনায়কদের মধ্যে নাজমুল হোসেন শান্তর রেকর্ডই সবচেয়ে ভাল। মাত্র ৬ ম্যাচ অধিনায়ক হয়েই টপকে গিয়েছেন দেশের ইতিহাসের আগের সব অধিনায়ককে। তবে রেকর্ডের সাপেক্ষে শান্ত অনেক কম ম্যাচই পেয়েছেন।
বাংলাদেশের হয়ে একাধিক টেস্ট জয় আছে কেবল চারজনের। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম আর মুমিনুল হকের পর এই তালিকায় আসেন নাজমুল হোসেন। এরইমাঝে মুমিনুল হকের সমান ৩ টেস্ট জয় করে ফেলেছেন তিনি। সামনে সাকিবের ৪ জয় এবং মুশফিকের ৭ জয়। এদের মধ্যে কেবল সাকিব এবং শান্তই নিজেদের প্রথম টেস্টে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন।
এ ছাড়া দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ম্যাচে ৩ টেস্ট জয়ের রেকর্ড গড়েছেন। সামনে আছে ভারত সিরিজ। চলতি বছর পাচ্ছেন আরও ৬ টেস্ট। এই সময়ের মাঝে অন্তত দুই ম্যাচে জয় পেলে দেশের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে ৫ টেস্টে জয়ী অধিনায়ক হবেন টাইগারদের বর্তমান ক্যাপ্টেন। সূএ: ঢাকা পোস্ট ডটকম