বেড়েই চলেছে যমুনার পানি, সিরাজগঞ্জে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা

টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলছে। শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও চৌহালীতে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।

 

শুক্রবার  ভোর থেকে রোববার  সকাল পর্যন্ত যমুনা নদীতে শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। তারা জানান, জেলার নদ-নদীসহ নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে হঠাৎ করে চৌহালী উপজেলাধীন খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণে ব্রাহ্মণগ্রাম, আরকান্দি, কৈজুরী এলাকায় যমুনা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙন শুরু হয়। এতে শতাধিক বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে বহু বসতবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।

পানি বাড়ায় শনিবার রাতে শাহজাদপুরের রাউতারায় প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বালির বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ এলাকা।

 

এদিকে নদীর পানি বেড়ে ছয় উপজেলার প্রায় ১০টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় হাজার মানুষ। তারা ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। এছাড়া বন্যায় কাঁচা পাট, তিল, কাউন, বাদাম, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের উঠতি ফসল নষ্ট হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষকরা।

 

খুকনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁদ বলেন, ‘একদিনে দুটি এলাকার অন্তত ১৫ টি বসতভিটাসহ অনেক ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে । ভাঙন এলাকা রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী বাঁধের কাজ দ্রুত করার দাবি জানাচ্ছি। দ্রুত ভাঙন বন্ধ না হলে বিলীন হয়ে যাবে বিশাল এলাকা।

 

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম  বলেন, যমুনায় আরও তিন দিন পানি বাড়া অব্যাহত থাকবে। চৌহালী ও শাহজাদপুরের ভাঙনরোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান  বলেন, বন্যার্তদের জন্য এরই মধ্যেই ৯১১ টন চাল, নগদ ২০ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এগুলো বিতরণের জন্য স্ব-স্ব এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছ ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী বিতরণ করা হবে।সূএ:জাগো নিউজ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আন্দোলন কারো জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে না : রিজভী

» হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলেন নুরুল হক নুর

» দোহায় তৌহিদ হোসেন-ইসহাক দার বৈঠক

» বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে প্রস্তুত ঢাকা

» যমুনা অভিমুখে প্রাথমিক শিক্ষকরা, পুলিশের জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

» জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহযোগিতা করা হবে: আসিফ মাহমুদ

» নবীর আদর্শ মনে প্রাণে ধারণ করে জীবন গঠন হবে ….. জেলা প্রশাসক নরসিংদী 

» ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশের উত্তরা ক্যাম্পাসে ইয়াং লার্নার ইংলিশ লার্নিং সেন্টার-এর নতুন শাখা চালু করল ব্রিটিশ কাউন্সিল

» ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এর অধীনে ব্র্যাক ব্যাংকের দেশব্যাপী আর্থিক সাক্ষরতা প্রোগ্রাম আয়োজন

» নওগাঁয় ডিবি পুলিশের অভিযানে মাদক কারবারি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ আটক ৩

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বেড়েই চলেছে যমুনার পানি, সিরাজগঞ্জে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা

টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলছে। শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও চৌহালীতে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।

 

শুক্রবার  ভোর থেকে রোববার  সকাল পর্যন্ত যমুনা নদীতে শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। তারা জানান, জেলার নদ-নদীসহ নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে হঠাৎ করে চৌহালী উপজেলাধীন খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণে ব্রাহ্মণগ্রাম, আরকান্দি, কৈজুরী এলাকায় যমুনা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙন শুরু হয়। এতে শতাধিক বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে বহু বসতবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।

পানি বাড়ায় শনিবার রাতে শাহজাদপুরের রাউতারায় প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বালির বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ এলাকা।

 

এদিকে নদীর পানি বেড়ে ছয় উপজেলার প্রায় ১০টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় হাজার মানুষ। তারা ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। এছাড়া বন্যায় কাঁচা পাট, তিল, কাউন, বাদাম, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের উঠতি ফসল নষ্ট হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষকরা।

 

খুকনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁদ বলেন, ‘একদিনে দুটি এলাকার অন্তত ১৫ টি বসতভিটাসহ অনেক ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে । ভাঙন এলাকা রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী বাঁধের কাজ দ্রুত করার দাবি জানাচ্ছি। দ্রুত ভাঙন বন্ধ না হলে বিলীন হয়ে যাবে বিশাল এলাকা।

 

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম  বলেন, যমুনায় আরও তিন দিন পানি বাড়া অব্যাহত থাকবে। চৌহালী ও শাহজাদপুরের ভাঙনরোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান  বলেন, বন্যার্তদের জন্য এরই মধ্যেই ৯১১ টন চাল, নগদ ২০ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এগুলো বিতরণের জন্য স্ব-স্ব এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছ ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী বিতরণ করা হবে।সূএ:জাগো নিউজ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com