নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল বাশারকে (২৫) কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এজাহারভূক্ত আসামি রকি (২৬) ও বাহার উদ্দিনকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের চাচা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০-১৫জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতাররা হচ্ছেন—মধুপুর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে মামলায় এজাহারভুক্ত ১০নং আসামি রকি ও মহবুল্যাপুর গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে ১১ নম্বর আসামি বাহার উদ্দিন।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল বাশার হত্যাকাণ্ডের পর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশের একাধিক দল। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত পৃথকস্থান থেকে আসামি রকি ও বাহারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনায় জড়িত অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে গোপালপুর ইউনিয়নের সোবহান মার্কেট দিয়ে বন্ধু বিপ্লবের মোটরসাইকেল নিয়ে বিপ্লবসহ গরু বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল। দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে যুবলীগের হাসানের নেতৃত্বে মাসুম, মিন্টু, জয়, রকি, জাহিদসহ কয়েকজন অস্ত্রধারি তাদের গতিরোধ করে এবং হাসিবুলকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে জোড়া পোল এলাকায় নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে জখম করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসিবুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে হাসিবের মৃতদেহ বাড়ি নেওয়ার সময় তার মৃতদেহ নিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদে চৌমুহনীতে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।