প্রকাশিত হলো চলতি বছরের হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স সমীক্ষার রিপোর্ট। কোন দেশের পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী তা সমীক্ষা করে দেখা হয় এই রিপোর্ট তৈরির জন্য। একটি দেশের পাসপোর্ট নিয়ে কতগুলো দেশে বিনা বাধা বা ভিসায় প্রবেশ করা যায়, তার ওপরে নির্ভর করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়। এবারের রিপোর্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড সংক্রমণ সামলে ওঠার সময়ে বিশ্বের নানা দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বদল হয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে এবারের সমীক্ষায়।
এবার এই তালিকায় ইউরোপীয় দেশগুলোর আধিপত্য কিছুটা কমেছে। বরং অনেক বেশি উপরে উঠে এসেছে এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ। তালিকার এক নম্বরেও রয়েছে এশিয়ার দেশ জাপান। শুধু তাই নয়। তালিকার দু’নম্বরে যৌথভাবে রয়েছে এশিয়ারই দু’টি দেশ। সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়া।
জাপানের পাসপোর্ট যাদের কাছে আছে, তারা ১৯৩টি দেশে বিনা বাধা ও ভিসায় ঢুকতে পারেন। পরের দু’টি দেশের ক্ষেত্রে সংখ্যা ১৯২ করে।
তালিকায় বেশ কিছুটা নেমে গেছে রাশিয়া। এই দেশের নাগরিকরা ১১৯টি দেশে প্রবেশের অনুমতি পাবেন এই দেশের পাসপোর্ট নিয়ে। তালিকায় রাশিয়া রয়েছে ৫০ নম্বরে। চীন ৬৯ নম্বরে। চীনের পাসপোর্ট নিয়ে বিনা ভিসায় ৮০টি দেশে যাওয়া যায়।
২০১৭ পর্যন্ত এশিয়ার প্রায় কোনও দেশেই প্রথম ১০এ সুযোগ পেত না। কিন্তু সেই পরিস্থিতি বদলেছে। বিশেষ করে কোভিড-পরবর্তী সময়ে সেই পরিস্থিতি যে অনেক খানি বদলে গিয়েছে, তা এই সমীক্ষা থেকেই পরিষ্কার।
আমেরিকা রয়েছে এই তালিকার ৭ নম্বরে। ১৮৬টি দেশে বিনা ভিসায় করা যেতে পারে এই দেশের পাসপোর্ট থাকলে।
এই তালিকায় ভারত খুব বেশি উপরে উঠতে পারেনি। এই দেশ রয়েছে ৮৭তম স্থানে। তালিকার একেবারে শেষ নাম আফগানিস্তানের। এই দেশের পাসপোর্ট থাকলে মোটে ২৭টি দেশে বিনা ভিসায় যাওয়া যেতে পারে।
এদিকে, বিশ্বে দুর্বল পাসপোর্টের তালিকায় নবম স্থানে থাকা বাংলাদেশের নাগরিকরা ৪১টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণের সুযোগ পান। এ তালিকায় বাংলাদেশের সঙ্গে একই অবস্থানে রয়েছে কসোভো ও লিবিয়া। চলতি বছরের তৃতীয় সংস্করণে ১১২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৪তম। এর আগে, চলতি বছরের এপ্রিলে প্রকাশিত হেনলির দ্বিতীয় প্রান্তিকের সংস্করণেও বাংলাদেশ একই অবস্থানে ছিল। তবে জানুয়ারিতে প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকের সংস্করণে ১০৩তম হয়েছিল বাংলাদেশ।
সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন