অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। বলেছেন, অবৈধ দখলদারদের নামে কোনো বৈধ নোটিশ ইস্যু করা হবে না, বিনা নোটিশেই তাদের উচ্ছেদ করা হবে। তাই ইতিমধ্যে যারা অবৈধভাবে খাল দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে হবে, অন্যথায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
আজ রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় লাউতলা খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ও খাল খননের কাজ পরিদর্শনকালে মেয়র একথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘যত প্রতিবন্ধকতাই থাকুক না কেন জনগণের সহায়তায় জিআইএস ম্যাপ অনুযায়ী নগরীর প্রত্যেকটি খালই উদ্ধার করা হবে।’
মেয়র বলেন, ‘টানা তিন দিনের অভিযানের ফলে অস্তিত্বহীন লাউতলা খালটি এখন দৃশ্যমান, স্থানীয় জনগণসহ যাদের আন্তরিক সহযোগিতায় অসম্ভব কাজটি সম্ভব হয়েছে তাদের প্রতি রইল আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
মেয়র আতিক বলেন, ‘বসিলাবাসীর স্বার্থেই প্রায় আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট লাউতলা খালটিকে বুড়িগঙ্গা নদীর সাথে সংযুক্ত করে এতে পানি প্রবাহের সৃষ্টি করা হবে ‘ তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সহায়তায় ডিএনসিসির আওতাধীন খালগুলোর সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রত্যেকটি খালে সীমানা পিলার স্থাপন, ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সকল খালের উভয় পাশেই নির্ধারিত সীমানার কমপক্ষে ২০ ফুট পর্যন্ত কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সময়ের চাহিদায় নগরীর ব্যস্ততম এলাকা থেকে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলো সরিয়ে সুবিধাজনক স্থানে স্থাপন করতে হবে।’
ডিএনসিসি মেয়রের উপস্থিতিতে রাজধানী উদ্যান প্রকল্পের গেইটসহ লাউতলা খালের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা-১৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম ও স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।,সূএ;ঢাকাটাইমস