বিএনপি সুপ্রিম কোর্টের ব্যালট ছিনতাই করেছে : তথ্যমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

 

তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে যত কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটেছে, সবকিছুই বিএনপি ঘটিয়েছে। তারা প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল। এবার তারা নির্বাচনী কার্যক্রমকে ভন্ডুল করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের ব্যালট ছিনতাই করেছে। নির্বাচনী কার্যক্রমের জন্য প্যান্ডেলসহ যেসব স্থাপনা করা হয়েছিল সেগুলো ভাঙচুর করেছে। যেভাবে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচনী কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল তারা, ঠিক সেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখন সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গেছে। এজন্য তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।

 

শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া মৌসুমি আবাসিকের আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বারের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল। সেখানে তারা শোচনীয় পরাজয় বরণ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনের আগেই তারা বুঝতে পেরেছে, এ নির্বাচনে তাদের জয়লাভের কোনো আশা নেই। সেজন্য তারা প্রথমে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। এরপর তারা ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছে এবং নির্বাচনী পরিচালনা করার স্থাপনাগুলো ভাঙচুর করেছে।

 

বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের একমাস পর থেকেই বিএনপি সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সরকারকে টেনে নামাতে বহুবার চেষ্টা করে বিএনপিই জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। তারাই দড়ি ছিড়ে পড়ে গেছে। সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি-ধামকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক। এগুলোতে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।

 

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পিলখানা বিদ্রোহের পেছনে তারাই ঘি ঢেলেছিল। ওই বিদ্রোহের সঙ্গে বিএনপি এবং তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিল। যেদিন ঘটনা ঘটে সেদিন প্রত্যুষে খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গে বহুবার কথা বলেছেন, সেই রেকর্ড আমাদের কাছে আছে।

 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার ক্ষমতায় থাকবে কি থাকবে না, সেটার মালিক দেশের জনগণ। জনগণ দেশ পরিচালনার জন্য গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়েছেন। সেজন্যই তিনি দেশ পরিচালনা করছেন।

 

এর আগে আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ বরাদ্দ দিয়েছেন। এটি ঢাকা শহরের জন্যও দেওয়া হয়নি। এ প্রকল্পের কাজ চলছে। আশা করি আগামী মৌসুমে আগের মতো জলাবদ্ধতা আর হবে না।

 

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহরে পৌনে এক কোটি মানুষ বসবাস করে। সবাই মিলে যদি ময়লা যেখানে-সেখানে ফেলি, সিটি করপোরেশনের চার হাজার কর্মীর পক্ষে পরিষ্কার রাখা কোনোদিন সম্ভব না। সুতরাং আমাদের নাগরিকদেরও দায়িত্ব আছে রাস্তাঘাট নালা-নর্দমা পরিষ্কার রাখা। ড্রেন করার পর সেই ড্রেনে যদি আমরা পলিথিন ও বাসা বাড়ির ময়লা ফেলি, তাহলে সেই ড্রেন কখনো সচল থাকে না। যেটা চট্টগ্রাম ও ঢাকা শহরে সব জায়গায় হচ্ছে।

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুর, ইউরোপ ও আমেরিকার বহু শহর আছে যেখানে থু থু ফেললে জরিমানা দিতে হয়। পৃথিবীর অনেক দেশে গিয়েছি। কোনো দেশে আমাদের মতো যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলার এ অবস্থা নেই। কিন্তু আমরা যখন বিদেশে যাই তখন কিন্তু যেখানে সেখানে ময়লা ফেলি না। এ অভ্যাস থেকে আমাদের সবাইকে বিরত থাকতে হবে।

 

স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী প্রমুখ।  সূএ : ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ছয় মাসে ৯ লাখ এনআইডি আবেদন নিষ্পত্তি : ইসি

» সাবেক বিরোধীদলীয় চীফহুইপ ফারুকের ওপর হামলার ১৪ বছর

» “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন” নামটা আমি প্রস্তাব করেছিলাম: হান্নান মাসউদ

» ২ জুলাই শুরু হয়েছিল শেখ হাসিনার পতনের কাউন্টডাউন

» সরকারি অনুদানে জুলাই নিয়ে হবে দুটি চলচ্চিত্র: তথ্য উপদেষ্টা

» প্রত্যাশিত অগ্রগতি না হলেও ঐকমত্যের লক্ষ্যে আলোচনা ফলপ্রসূ হবে : আলী রিয়াজ

» আজ মিয়ানমার বাধা পেরোলেই এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ

» দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ

» মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা

» রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী আখতার হোসেন

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বিএনপি সুপ্রিম কোর্টের ব্যালট ছিনতাই করেছে : তথ্যমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

 

তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে যত কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটেছে, সবকিছুই বিএনপি ঘটিয়েছে। তারা প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল। এবার তারা নির্বাচনী কার্যক্রমকে ভন্ডুল করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের ব্যালট ছিনতাই করেছে। নির্বাচনী কার্যক্রমের জন্য প্যান্ডেলসহ যেসব স্থাপনা করা হয়েছিল সেগুলো ভাঙচুর করেছে। যেভাবে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচনী কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল তারা, ঠিক সেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখন সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গেছে। এজন্য তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।

 

শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া মৌসুমি আবাসিকের আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বারের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল। সেখানে তারা শোচনীয় পরাজয় বরণ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনের আগেই তারা বুঝতে পেরেছে, এ নির্বাচনে তাদের জয়লাভের কোনো আশা নেই। সেজন্য তারা প্রথমে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। এরপর তারা ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছে এবং নির্বাচনী পরিচালনা করার স্থাপনাগুলো ভাঙচুর করেছে।

 

বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের একমাস পর থেকেই বিএনপি সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সরকারকে টেনে নামাতে বহুবার চেষ্টা করে বিএনপিই জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। তারাই দড়ি ছিড়ে পড়ে গেছে। সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি-ধামকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক। এগুলোতে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।

 

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পিলখানা বিদ্রোহের পেছনে তারাই ঘি ঢেলেছিল। ওই বিদ্রোহের সঙ্গে বিএনপি এবং তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিল। যেদিন ঘটনা ঘটে সেদিন প্রত্যুষে খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গে বহুবার কথা বলেছেন, সেই রেকর্ড আমাদের কাছে আছে।

 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার ক্ষমতায় থাকবে কি থাকবে না, সেটার মালিক দেশের জনগণ। জনগণ দেশ পরিচালনার জন্য গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়েছেন। সেজন্যই তিনি দেশ পরিচালনা করছেন।

 

এর আগে আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ বরাদ্দ দিয়েছেন। এটি ঢাকা শহরের জন্যও দেওয়া হয়নি। এ প্রকল্পের কাজ চলছে। আশা করি আগামী মৌসুমে আগের মতো জলাবদ্ধতা আর হবে না।

 

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহরে পৌনে এক কোটি মানুষ বসবাস করে। সবাই মিলে যদি ময়লা যেখানে-সেখানে ফেলি, সিটি করপোরেশনের চার হাজার কর্মীর পক্ষে পরিষ্কার রাখা কোনোদিন সম্ভব না। সুতরাং আমাদের নাগরিকদেরও দায়িত্ব আছে রাস্তাঘাট নালা-নর্দমা পরিষ্কার রাখা। ড্রেন করার পর সেই ড্রেনে যদি আমরা পলিথিন ও বাসা বাড়ির ময়লা ফেলি, তাহলে সেই ড্রেন কখনো সচল থাকে না। যেটা চট্টগ্রাম ও ঢাকা শহরে সব জায়গায় হচ্ছে।

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুর, ইউরোপ ও আমেরিকার বহু শহর আছে যেখানে থু থু ফেললে জরিমানা দিতে হয়। পৃথিবীর অনেক দেশে গিয়েছি। কোনো দেশে আমাদের মতো যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলার এ অবস্থা নেই। কিন্তু আমরা যখন বিদেশে যাই তখন কিন্তু যেখানে সেখানে ময়লা ফেলি না। এ অভ্যাস থেকে আমাদের সবাইকে বিরত থাকতে হবে।

 

স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী প্রমুখ।  সূএ : ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com