বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস আজ

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস আজ সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

 

বাণীতে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ‘বাংলাদেশে প্রেস কাউন্সিল দিবস-২০২২’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি। একইসঙ্গে অনুসন্ধানী ও সৃজনশীল প্রতিবেদনের জন্য বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদকপ্রাপ্ত গণমাধ্যমকর্মীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনও জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, তথ্যের অবাধ প্রবেশাধিকার ও জনগণের ক্ষমতায়ন পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। গণতন্ত্রের বিকাশসহ এর প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সংবাদপত্রের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম গণতন্ত্রকে সুসংহত করার পাশাপাশি মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে।

 

দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমসংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুরূপ বাণীতে বলেন, বর্তমান সরকার সবসময় গণমাধ্যমবান্ধব। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে গণমাধ্যমের উন্নয়নে কাজ করেছে।

তিনি বলেন, সৎ সাংবাদিকতায় উৎসাহিত করতে ২০১৮ সাল থেকে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের মধ্যে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক। আগামীতেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা ও মানোন্নয়নে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আরও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে প্রত্যাশা করছি।

 

সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রেসের স্বাধীনতা রক্ষা, সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে যে প্রেস কাউন্সিল আইন প্রণয়ন করেছিলেন, এরই ফসল আজকের বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল। ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গঠিত সরকারের আমলে প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট গেজেট আকারে প্রকাশ হয়। এ তারিখেই বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস উদযাপন করা হচ্ছে, যা আনন্দের।

 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল হলো একটি আধা বিচার বিভাগীয় সংস্থা, যা বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইনের অধীনে সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণ ও বাকস্বাধীনতা রক্ষা করে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস’ হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে। সংবাদপত্রের গুণগত মান নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি হলুদ সাংবাদিকতা রোধে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

২০১৬ সালে বাংলাদেশ আইন কমিশন সুপারিশ করেছে প্রেস কাউন্সিলকে সাময়িকভাবে যে কোনো সংবাদপত্র বন্ধ করার ক্ষমতা দেওয়া হবে। সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার মান বজায় রাখা, সংশোধন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সংরক্ষণ ও সুরক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা হয়।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» দুই দফা দাম কমানোর পর ফের বাড়লো সোনার দাম

» রমজানে যানজট কমাতে পুলিশের ১৫ নির্দেশনা

» রমজানে দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার অনুরোধ রাষ্ট্রপতির

» দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, কাল থেকে রোজা

» গুড়ার নন্দীগ্রামে হাইওয়ে পুলিশের পথসভা অনুষ্ঠিত 

» বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে প্রথমবারের মতো ইন্ডাস্ট্রিয়াল লেকচার সপ্তাহ অনুষ্ঠিত

» পাঁচবিবিতে তথ্য আপা প্রকল্পের বিশেষ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

» নগদ-এ কেনাকাটার পেমেন্ট করলে পাবেন বিএমডব্লিউ গাড়ি

» মোবাইল ব্যালেন্স থেকে পরিশোধ করা যাবে সরকারি সেবার বিল

» জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসিকে সহযোগিতায় আগ্রহী নেদারল্যান্ডস

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস আজ

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস আজ সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

 

বাণীতে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ‘বাংলাদেশে প্রেস কাউন্সিল দিবস-২০২২’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি। একইসঙ্গে অনুসন্ধানী ও সৃজনশীল প্রতিবেদনের জন্য বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদকপ্রাপ্ত গণমাধ্যমকর্মীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনও জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, তথ্যের অবাধ প্রবেশাধিকার ও জনগণের ক্ষমতায়ন পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। গণতন্ত্রের বিকাশসহ এর প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সংবাদপত্রের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম গণতন্ত্রকে সুসংহত করার পাশাপাশি মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে।

 

দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমসংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুরূপ বাণীতে বলেন, বর্তমান সরকার সবসময় গণমাধ্যমবান্ধব। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে গণমাধ্যমের উন্নয়নে কাজ করেছে।

তিনি বলেন, সৎ সাংবাদিকতায় উৎসাহিত করতে ২০১৮ সাল থেকে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের মধ্যে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক। আগামীতেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা ও মানোন্নয়নে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আরও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে প্রত্যাশা করছি।

 

সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রেসের স্বাধীনতা রক্ষা, সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে যে প্রেস কাউন্সিল আইন প্রণয়ন করেছিলেন, এরই ফসল আজকের বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল। ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গঠিত সরকারের আমলে প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট গেজেট আকারে প্রকাশ হয়। এ তারিখেই বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস উদযাপন করা হচ্ছে, যা আনন্দের।

 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল হলো একটি আধা বিচার বিভাগীয় সংস্থা, যা বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইনের অধীনে সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণ ও বাকস্বাধীনতা রক্ষা করে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস’ হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে। সংবাদপত্রের গুণগত মান নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি হলুদ সাংবাদিকতা রোধে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

২০১৬ সালে বাংলাদেশ আইন কমিশন সুপারিশ করেছে প্রেস কাউন্সিলকে সাময়িকভাবে যে কোনো সংবাদপত্র বন্ধ করার ক্ষমতা দেওয়া হবে। সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার মান বজায় রাখা, সংশোধন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সংরক্ষণ ও সুরক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা হয়।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :

Design & Developed BY ThemesBazar.Com