বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১শ’ রানে গুটিয়ে গেছে মিনিস্টার ঢাকা। প্রথম জয় পেতে সিলেটের লক্ষ্য ১০১ রান।
এর আগে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন সিলেটের অধিনায়ক মোসাদ্দেক। ম্যাচটি শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায়।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় ঢাকা। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরে যান মোহাম্মদ শেহজাদ (৫), তামিম ইকবাল (৩) ও জহুরুল ইসলাম (৪)। প্রথম ছয় ওভার থেকে ঢাকা করতে পারে মাত্র ২২ রান, ৩ উইকেটের বিনিময়ে। সিলেট তাসকিন আহমেদকে দিয়ে বোলিং শুরু করালেও এরপর টানা ৮ ওভার করে যান দুই অফস্পিনার সোহাগ গাজী ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক সৈকত।
এ দুইজনের সামনে রীতিমতো হাঁসফাঁশ করছিলেন তামিম, জহুরুল, নাইম শেখরা। তিন নম্বরে নাইম যেন পুরোপুরি টেস্ট মেজাজে খেলতে থাকেন। মোসাদ্দেক-গাজীর করা টানা ৮ ওভার শেষে নাইমের নামের পাশে ছিল ২০ বলে মাত্র ৬ রান। তবে অন্যপ্রান্তে রানের চাকা সচল রাখার প্রাণপন চেষ্টা করছিলেন ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার কল্যাণেই মূলত ইনিংসের ১১তম ওভারে দলীয় পঞ্চাশ পূরণ হয় ঢাকার। এরপর ১৩তম ওভারে ঘটে আম্পায়ারের ভুলের জোড়া ঘটনা।
নাজমুল অপুর করা সেই ওভারের প্রথম বলে নাইম শেখকে লেগ বিফোর আউট দেন আম্পায়ার শরফৌদ্দৌল্লাহ ইবনে সৈকত। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল নাইমের প্যাডেই লাগেনি, আঘাত করেছিলো গ্লাভসে। কিন্তু আম্পায়ার আউট দেওয়ায় সমাপ্তি ঘটে নাইমের ৩০ বলে ১৫ রানের ইনিংসের।
একই ওভারের চতুর্থ বলে আন্দ্রে রাসেলের বিপক্ষে জোরালো আবেদন করেন নাজমুল অপু। আবারো আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার সৈকত। এবার রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি রাসেলের প্যাডে আঘাত হানার আগে লেগেছিলো ব্যাটে। কিন্তু রিভিউ সিস্টেম না থাকায় ০ রানেই ফিরতে হয় রাসেলকে।
নিজের পরের ওভারে ঢাকার অধিনায়ককেও ফিরিয়ে দেন অপু। প্যাডল সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে দাঁড়ানো তাসকিনের হাতে ধরা পড়েন ২৬ বলে ৩৩ রান করা মাহমুদউল্লাহ। এরপর আর মূলত কিছুই বাকি ছিল না ঢাকার ব্যাটিংয়ের। তবু শুভাগত হোমের দুই চার ও এক ছয়ের মারে ১৬ বলে ২১ এবং রুবেল হোসেনের এক চার ও এক ছয়ের মারে ৬ বলে ১২ রানের সুবাদে দলীয় ১০০ পূরণ হয় ঢাকার।
শুভাগতকে ফিরিয়ে নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার তুলে নেন নাজমুল অপু। মাত্র ১৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া তাসকিন ৩ ও গাজীর শিকার ২ উইকেট।
মিনিস্টার ঢাকা একাদশ
মোহাম্মদ শেহজাদ, তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাঈম, জহুরুল ইসলাম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আন্দ্রে রাসেল, ইসুরু উদানা, শুভাগত হোম, আরাফাত সানি, মুরাদ হাসান ও রুবেল হোসেন।
সিলেট সানরাইজার্স একাদশ
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (অধিনায়ক), মোহাম্মদ মিঠুন, এনামুল হক বিজয়, নাজমুল ইসলাম অপু, সোহাগ গাজী, অলক কাপালী, মুক্তার আলী, তাসকিন আহমেদ, কলিন ইনগ্রাম, কেসরিক উইলিয়ামাস ও রবি বোপারা।