মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কাউন্সিলর ডেরেক এইচ শোলে বলেছেন, ৫১ বছরে গড়ে ওঠা শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বিষয়ে ‘আশাবাদী’ তারা।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের শোলে বলেন, আমরা ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী। একটি খুব দৃঢ় অংশীদারিত্বের ৫১ বছর হয়েছে। আমরা পরবর্তী ৫১ বছর এবং তার পরেও অপেক্ষা করছি। আমাদের উভয়ের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে তবে আমাদের অনেকগুলো সাধারণ সুযোগ রয়েছে যেগুলো নিয়ে আমরা আজ কথা বলেছি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কাউন্সিলর বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তার দিক থেকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, তারা ক্রমাগত কাজ করছে এবং বাংলাদেশকে সাহায্য করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আতিথ্য করছে এবং মিয়ানমারের মূল কারণগুলো মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, মার্কিন কূটনীতিকদের পেয়ে বাংলাদেশ খুশি। ‘আমাদের খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমি খুব খুশি, আমরা আরো ভালো দিনগুলোর জন্য অপেক্ষা করছি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
এদিন সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন শোলে ও তার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটে ‘সমন্বয় ও প্রতিক্রিয়া’, আন্তর্জাতিক ফোরামে সহযোগিতা জোরদার করা এবং ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ‘নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব’ এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।