বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি বাসায় ট্রান্সজেন্ডার (রূপান্তরকামী) নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রোববার সকালে মহাখালী ও ফার্মগেট এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- ঘটনার মূলহোতা ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদ ওরফে সানি, রিশু ও সাইমা নিরা।
গ্রেফতারদের মধ্যে নিরা নিজেকে আরজে ও পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিতেন। আর ফুয়াদ নিজেকে বিমান বাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন।
দুপুরে র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জাগো নিউজকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আলোচিত ওই নারীকে (রূপান্তরকামী) যৌন নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার ঘটনা মামলায় মূলহোতা ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদ ও সহযোগী তথাকথিত নারী আরজেসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে দুপুরে ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে শুক্রবার ভুক্তভোগী রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার এজাহারে তিনি জানান, ওই (রিশু) যুবকের কথা বিশ্বাস করে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি ব্লকে ৫ নম্বর সড়কের এক বাসার দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে যান। সেখানে যাওয়ার পর তিনি এক নারী ও আরেকজন পুরুষকে দেখতে পান।
ওই তিনজন ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন। এতে বাধা দিলে তিনজন তাকে মারধর শুরু করেন এবং বলতে থাকেন এই ভিডিও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে। এ সময় তিনজন নিজেদের আইনের লোক পরিচয় দেন। তাদের কাছে অস্ত্র ও ওয়াকিটকি ছিল বলে জানান তিনি।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, ভুক্তভোগীর কাছে থাকা মোবাইল ফোন, সোনার চেন, নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরপর তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে বলা হয়, না দিলে মেরে পূর্বাচলে ফেলে দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে প্রাণ ভিক্ষা চাইলে তাকে থানায় নিয়ে যাবে বলে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরিয়ে রাত ৮টার দিকে রামপুরা এলাকায় একটি হাসপাতালের সামনে ফেলে যায়।