আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধের লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতাকে হত্যা করা এবং এরপর ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করে সাম্রাজ্যবাদ ও পাকিস্তানি শক্তি।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রোববার কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে শীতবস্ত্র বিতরণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
নানক বলেন, পাকিস্তানি শক্তি বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে সামরিকজান্তা জিয়াউর রহমানকে আবিষ্কার করে তাকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর চেষ্টাও করেছিল।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে জাতির উদ্দেশে ভাষণেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নানা দিক নির্দেশনা দেন। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “বাংলাদেশের আদর্শগত ভিত্তি কী ধরনের হবে, রাষ্ট্রের কাঠামো কী ধরনের হবে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যারা দালালি করেছে, তাদের কী হবে- এসব বিষয়সহ বিভিন্ন দিকনিদের্শনা দিয়েছিলেন।”
নানক বলেন, ‘আজ থেকে ৫০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছেন, সেই স্বপ্ন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করছেন। দেশের মানুষ মনে করে তার হাতে দেশ, দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় সম্পদ নিরাপদ। তিনি জেগে আছেন বলেই জাতি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধ করে যাদের আমরা পরাজিত করেছি, তারাই আজ আমাদের অনুসরণ করতে চায়। জননেত্রী শেখ হাসিনার ধারাই একের পর এক মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়ন হচ্ছে। তার দূরদর্শী চিন্তায় সুশাসনের ফলে দেশের গ্রামগুলো একেকটি শহরে রূপান্তরিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের প্রেতাত্মারা বসে নেই। বিএনপি-জামায়াতসহ আজকে যারা মৌলবাদী ধর্মান্ধ, জঙ্গিবাদীর পৃষ্ঠপোষক, সেই অপশক্তিরা আজও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। তারা বিভিন্ন ভাবে অপকর্ম করছে।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ সভাপতিত্ব করেন। কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা শেষে কৃষকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা।