বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা পর বিচার চাইতে না পারার আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা গর্জে উঠতে পারিনি, যেমন তার আহ্বানে ৭ মার্চে নিরস্ত্র বাঙালিরা গর্জে উঠেছিলাম। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা সব কিছু হারিয়ে ফেলেছিলাম। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। নির্বাক হয়েছিলাম। আমাদের নিজেদের শরীরে চিমটি কেটে অনুভূতি নিতে চেষ্টা করেছিলাম, আমরা আছি না মরে গেছি।
মঙ্গলবার বিকেল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর কাছে ক্ষমা চেয়ে মন্ত্রী বলেন, হে পিতা ক্ষমা করো আমাদের। তোমাকে হত্যার পর আমরা তোমার জন্য দাঁড়াতে পারিনি, হুংকার দিতে পারিনি, বলতে পারিনি আমরা তোমার হত্যার বিচার চাই। অপেক্ষা করতে হয়েছিল অনেক দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসার পর বাংলার মানুষ বুঝেছিলে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার পাবে। তিনিই বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারটি করেছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৮ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন বদলে দিবেন বাংলাদেশকে। যথার্থভাবেই তিনি বদলে দিয়েছেন। আমরা সেই দৃশ্যটাই দেখতে পাচ্ছি। দেশকে আজ আলোকিত করেছেন। বাংলাদেশ আজকে তলাবিহিন ঝুড়ি থেকে সম্ভাবনাময় দেশ। আমাদের লক্ষ্য কিন্তু অনেক।
বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বলেন, হঠকারী রাজনীতি যারা করে, তারা সফল হয় না। বিএনপি-জামায়াত হঠকারী রাজনীতি করেছে। তার খেসারত খালেদা জিয়াকে দিতে হচ্ছে। খালেদা জিয়ার দলের নেতারা বিভ্রান্তিকর কথা বার্তা বলছেন। যুবলীগকে তাদের মোকাবিলা করতে হবে।
আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। সূএ: জাগোনিউজ২৪.কম