বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে প্রায় সকল শিশুকেই আমরা বিদ্যালয়ে নিয়ে আসতে পেরেছি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৮ সালে বাংলাদেশের শিক্ষা এগুনোর কথা থাকলেও এগোয়নি। কোনোকিছু বাড়েনি, কমেছে। শুধু মানুষের হাহাকার বেড়েছিল বিএনপি-জামায়াতের আমলে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে প্রায় সকল শিশুকেই আমরা বিদ্যালয়ে নিয়ে আসতে পেরেছি।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৮ সালের ইশতেহারে বলেছি, শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। আমরা যেন শুধু শিক্ষিত বেকার তৈরি না করি। তাই আমরা কারিগরি শিক্ষাও দিচ্ছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাও বাড়িয়েছি। সেখানে কর্মোপযোগী শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, তারা পড়ে পড়ে শিখবে, মুখস্থ নয়। তারা যেন সে শিক্ষাটাকে কাজে লাগাতে পারে। নয়তো সেটার কোনো মূল্য নেই। তারা মূল্যবোধ শিখবে। তারা অসাম্প্রদায়িক মানুষ হবে। সকল মানুষের প্রতি সম্মানবোধ নিয়ে তারা বড় হবে। বৈধ কোনো কাজকে তারা ছোট মনে করবে না। তারাই গড়বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।
তিনি আরও বলেন, আজকে খুব আনন্দের দিন। কারণ একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সবার কমবেশি সংযোগ থাকে। আমি বিশ্বাস করি আজ এখানে যারা আছেন তারা সবাই গর্বিত এই সুন্দর ভাবনটি দেখে। আমাদের শিক্ষার্থীরা এখানে শিক্ষা নিয়ে মানুষের মতো মানুষ হবে।
ডা. দীপু মনি বলেন, যোগাযোগ থেকে শিক্ষা ব্যবস্থা সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের সবার প্রিয় আইভী আপাকে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন। একজন জনপ্রতিনিধির মানুষের প্রতি কাজ করার আকুতিই প্রমাণ করে কেন মানুষ তাকে বার বার ভোট দিচ্ছে।
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, আমরা যত উন্নয়ন করি না কেন শিক্ষার উন্নয়ন না হলে তা কাজে আসবে না। বঙ্গবন্ধু সেই সময় স্বল্প বাজেট হওয়া সত্ত্বেও সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়েছিলেন শিক্ষা খাতে। শিক্ষা সর্বশ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় মেগা প্রজেক্ট।
সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, যারা নিজের এলাকায় ভোট পায় না তারা নাকি ঐক্যজোট করছে। আমরা তাদের দেখে নিয়েছি এরা কারা। এরা একাত্তরের সেই ধর্ষক হত্যাকারীদের দোসর। এরা সেই ১৫ আগস্টের হত্যাকারী, ২০১৩ সালের অগ্নিসংযোগকারীদের দোসর। অনেকে বলেন আমি রাজনীতি করি না। রাজনীতি সবাই করবে, প্রতিটি মানুষকে রাজনীতি সচেতন হতে হবে। কারণ রাজনীতিই নির্ধারণ করে আপনার রাস্তা, জীবন যাপন নিরাপদ কি-না। অগ্নিসংযোগকারীদের হাতে আপনার দেশের দায়িত্ব দেবেন না। তাদের হাতে আপনারা নিরাপদ নন।