ফসলের মাঠে জাতীয় পতাকা স্মৃতিসৌধ মানচিত্র বানিয়ে শিক্ষকের চমক

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে ফসলের মাঠে জাতীয় পতাকা, মানচিত্র ও স্মৃতিসৌধের আদলে চিত্রকল্প ফুটিয়ে তুলেছেন শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার ধানশাইল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকী। তার এমন চিত্রকর্ম দেখতে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ভিড় করছেন।

 

এর আগে ২০২১ সালে এক খণ্ড জমিতে প্রথমবারের মতো জাতীয় পতাকার আদলে বেগুনি রঙের ধান চাষ করে আলোচনায় আসেন শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকী।

শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকী  বলেন, আমি কৃষক পরিবারের সন্তান। তাই ছোট থেকেই কৃষির প্রতি আমার আলাদা টান রয়েছে। গত বছর ইউটিউবে পার্পল লিফ রাইস ধানের চাষ দেখার পর এই ধান চাষে আগ্রহী হই। তখন পরীক্ষামূলকভাবে ১০ শতাংশ জমিতে ওই ধান রোপণ করেছিলাম। ফলনও খুব ভালো পেয়েছিলাম। তাই এবার পৃথকভাবে ৫০ শতাংশ জমিতে ধানের আবাদ করেছি। যেখানে এবারও বেগুনি ধানের (পার্পল লিফ রাইস) বীজও রোপণ করা হয়েছে। দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে আমি আমার ফসলি জমিতে জাতীয় পতাকা,  বাংলাদেশের মানচিত্র ও স্মৃতিসৌধের আদলে চিত্রকল্প ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।

 

স্থানীয় এলাকাবাসী জহুরুল ইসলাম জানান, আলম মাস্টারের চিত্রকর্মের কথা লোকমুখে শুনেছি। এতদিন কাজের ব্যস্ততা থাকায় আসতে পারিনি। তাই আজ ফসলের মাঠে জাতীয় পতাকা, স্মৃতিসৌধ ও মানচিত্র দেখতে এসেছি।

 

পার্শ্ববর্তী শ্রীবরদী উপজেলার বাসিন্দা সাইফুল আলম বলেন, আমি পেশায় একজন পশু চিকিৎসক। পেশাগত কাজে আমাকে প্রায়ই ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইলের রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। তাই মাঝে-মধ্যেই রাস্তার পার্শ্বে জমিতে আলম স্যারের চিত্রকর্ম দেখতে দাঁড়াই।

 

শেরপুর থেকে আসা চাকরিজীবী রুবেল মৃধা  বলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জানতে পারি ফসলের মাঠে জাতীয় পতাকা, স্মৃতিসৌধ ও মানচিত্র বানানোর কথা। তাই স্বচক্ষে দেশপ্রেমিক শিক্ষক ও তার চিত্রকর্ম দেখতে এখানে ছুটে আসি। ধান গাছ দিয়ে কৃষি জমিতে এত সুন্দর চিত্রকর্ম ফুটিয়ে তোলা যায় তা নিজ চোখে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এমদাদুল হক  বলেন, শেরপুর কৃষি সমৃদ্ধ জেলা। এখানে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদিত হয়। যার মধ্যে ধান অন্যতম। জেলায় এবার ৯১ হাজার ৬৯৯ হেক্টর জমির ধান উৎপাদন হয়েছে।

 

এদিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নে নূরে আলম সিদ্দিকী নামে একজন প্রধান শিক্ষক তার ফসলি জমিতে জাতীয় পতাকা, স্মৃতিসৌধ ও মানচিত্র বানিয়েছেন। যা দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। সূএ:  ঢাকা পোস্ট ডটটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» গুমের সঙ্গে জড়িত সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে : সেনা সদর

» আশুরা-তাজিয়া মিছিলে অংশ নিতে ডিএমপির একগুচ্ছ পরামর্শ

» স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী!

» যুবককে গলা কেটে হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেফতার

» স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ১৯ হাজার ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট দিল চীন

» পেন্টাগনের মূল্যায়ন: কতোটা ক্ষতি হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির?

» সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির

» ইতালির নাগরিক তাবেলা হত্যা: ৩ জনের যাবজ্জীবন, ৪ জন খালাস

» টেলিকম নীতিমালায় সরকারের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তে বিএনপির উদ্বেগ

» এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ছুরিকাঘাত করে ভ্যানিটি ব্যাগ ও মোবাইল ছিনতাই

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ফসলের মাঠে জাতীয় পতাকা স্মৃতিসৌধ মানচিত্র বানিয়ে শিক্ষকের চমক

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে ফসলের মাঠে জাতীয় পতাকা, মানচিত্র ও স্মৃতিসৌধের আদলে চিত্রকল্প ফুটিয়ে তুলেছেন শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার ধানশাইল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকী। তার এমন চিত্রকর্ম দেখতে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ভিড় করছেন।

 

এর আগে ২০২১ সালে এক খণ্ড জমিতে প্রথমবারের মতো জাতীয় পতাকার আদলে বেগুনি রঙের ধান চাষ করে আলোচনায় আসেন শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকী।

শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকী  বলেন, আমি কৃষক পরিবারের সন্তান। তাই ছোট থেকেই কৃষির প্রতি আমার আলাদা টান রয়েছে। গত বছর ইউটিউবে পার্পল লিফ রাইস ধানের চাষ দেখার পর এই ধান চাষে আগ্রহী হই। তখন পরীক্ষামূলকভাবে ১০ শতাংশ জমিতে ওই ধান রোপণ করেছিলাম। ফলনও খুব ভালো পেয়েছিলাম। তাই এবার পৃথকভাবে ৫০ শতাংশ জমিতে ধানের আবাদ করেছি। যেখানে এবারও বেগুনি ধানের (পার্পল লিফ রাইস) বীজও রোপণ করা হয়েছে। দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে আমি আমার ফসলি জমিতে জাতীয় পতাকা,  বাংলাদেশের মানচিত্র ও স্মৃতিসৌধের আদলে চিত্রকল্প ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।

 

স্থানীয় এলাকাবাসী জহুরুল ইসলাম জানান, আলম মাস্টারের চিত্রকর্মের কথা লোকমুখে শুনেছি। এতদিন কাজের ব্যস্ততা থাকায় আসতে পারিনি। তাই আজ ফসলের মাঠে জাতীয় পতাকা, স্মৃতিসৌধ ও মানচিত্র দেখতে এসেছি।

 

পার্শ্ববর্তী শ্রীবরদী উপজেলার বাসিন্দা সাইফুল আলম বলেন, আমি পেশায় একজন পশু চিকিৎসক। পেশাগত কাজে আমাকে প্রায়ই ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইলের রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। তাই মাঝে-মধ্যেই রাস্তার পার্শ্বে জমিতে আলম স্যারের চিত্রকর্ম দেখতে দাঁড়াই।

 

শেরপুর থেকে আসা চাকরিজীবী রুবেল মৃধা  বলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জানতে পারি ফসলের মাঠে জাতীয় পতাকা, স্মৃতিসৌধ ও মানচিত্র বানানোর কথা। তাই স্বচক্ষে দেশপ্রেমিক শিক্ষক ও তার চিত্রকর্ম দেখতে এখানে ছুটে আসি। ধান গাছ দিয়ে কৃষি জমিতে এত সুন্দর চিত্রকর্ম ফুটিয়ে তোলা যায় তা নিজ চোখে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এমদাদুল হক  বলেন, শেরপুর কৃষি সমৃদ্ধ জেলা। এখানে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদিত হয়। যার মধ্যে ধান অন্যতম। জেলায় এবার ৯১ হাজার ৬৯৯ হেক্টর জমির ধান উৎপাদন হয়েছে।

 

এদিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নে নূরে আলম সিদ্দিকী নামে একজন প্রধান শিক্ষক তার ফসলি জমিতে জাতীয় পতাকা, স্মৃতিসৌধ ও মানচিত্র বানিয়েছেন। যা দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। সূএ:  ঢাকা পোস্ট ডটটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com