প্রেমিকের সঙ্গে থাকা নানা সময়ের মূহুর্তগুলো অনেকেই ভিডিও করে রাখেন। একবার ভাবুন তো, সেই মুহুর্তের ধারণ করা ভিডিও যদি প্রকাশ্যে চলে আসে তাহলে কেমন হয় বিষয়টি। নিশ্চয়ই বিষয়টি খারাপ হবে!
কিন্তু বর্তমান সময়টা ভার্চ্যুয়াল। আড্ডা হোক কিংবা জরুরি কাজ। বাস্তবতার পাশপাশি এখন নিত্য নতুন বাস্তবতা হচ্ছে ভার্চ্যুয়াল জগতে। এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
প্রায় ২০ বছর আগে খুব বেশি একটা পরিচিতি ছিল না কিম কার্দাশিয়ানের। তিনি তখন আইজীবির মেয়ে হিসেবেই পরিচিত। পেজ থ্রি এর পাতায় মাঝেমধ্যে তার নাম দেখা যায়। তবে সেটা আইনজীবী রবার্ট কার্দাশিয়ানের মেয়ে হিসাবেই।
২০০২ সালে আরো কয়েকটি কারণে কিম কার্দাশিয়ানের নাম করতেন অনেকে। হিলটন হোটেলস-এর উত্তরাধিকারী প্যারিস হিলটনের বন্ধু হিসেবেও লোকজন চিনতেন তাকে। আবার হিপহপ গায়িকা ব্র্যান্ডির স্টাইলিস্ট হিসেবেও চোখে পড়ছেন।
তবে বেশ কয়েক বছরের মধ্যেই পাল্টে যেতে থাকে তার জীবন। বিনোদনের রঙিন দুনিয়ায় যার টুকটাক ছবি দেখা যেত, সেই কিম রাতারাতি তারকা খ্যাতি পেয়ে যান। তখন অনেকেই দাবি করেছিলেন, এর পিছনে একটি ভিডিওর অবদান রয়েছে।
রে জে-র সঙ্গে কিমের অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁস হওয়ামাত্রই সকলের নজরে পড়ে গিয়েছিলেন কিম কার্দাশিয়ান। গুঞ্জন ওঠে ২০০২ সালের অক্টোবরে ২৩তম জন্মদিন পালন করতে রে জে-র সঙ্গে মেক্সিকোর কাবো সান লুকাসে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন কিম।
সে সময় একটি ভিডিও ক্যামেরা সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন কিম এবং রে। ছুটির মজাদার ছবি ছাড়াও তাতে দুজনের বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত ভিডিও ধারণ করা হয়।
কিন্তু কিম এবং রে এর একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্ত ঠিক কীভাবে ফাঁস হলো? এই প্রশ্নের উত্তর আজও অধুরা। এখনও ঠিক কে সেই ভিডিও ফাঁস করেছিলেন তা নিয়ে নানা ধরণের বাকবিতন্ডা চলে। তবে এতে ‘কিম কার্দাশিয়ান, সুপারস্টার’ নামে ওই ভিডিওর কারণে জনপ্রিয়তায় এক ফোটা আঁচও লাগেনি।
তবে নেটমাধ্যম থেকে ওই ভিডিও এখন পর্যন্ত ১৫ কোটি বারের বেশি দেখা হয়েছে।
এছাড়াও কিমের আরো বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিলো নেটমাধ্যমে। যেখান থেকে পরবর্তীতে প্রায় ২ কোটি ডলার, অর্থাৎ প্রায় ২০০ কোটি টাকারও বেশি আয় করেন কিম।
তবে এর জন্য কিমের সঙ্গে অনেকেরই বন্ধুত্ব হারাতে হয়েছিল। যদিও এতে কিমের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।
ডেইলি বাংলাদেশ/