ছবি সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। একটি ভালো প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমরা সবসময় তাদের কাছ থেকে ভালো আচরণ প্রত্যাশা করি। কিন্তু ভারতীয় গণমাধ্যম সবসময় বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত থাকে। বিষয়টা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তারা অপপ্রচার করেই ক্ষান্ত হয় না, বরং তারা যেকোনো ধরনের উস্কানি দেওয়ার কাজে লিপ্ত থাকে, চক্রান্তেও লিপ্ত থাকে।
বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবীর বেপারীসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার মাজারে এই শ্রদ্ধা জানান জয়নুল ফারুক।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, একটা সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী নানান উছিলা দিয়ে দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ হঠাৎ এমন সব বিষয় সামনে আসছে, যা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বিব্রতকর। এজন্য দেশের মানুষও লজ্জাকর অবস্থায় পড়ে যায়। এগুলোকে অনেকাংশে পতিত স্বৈরাচারের কাণ্ড-কারখানা বলেই মনে হয়। ক’দিন সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে দেশের পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা চলছিল। সেটাকে নিয়েও ভারতের মিডিয়াগুলো আন্তর্জাতিক লেবেলে পানি ঘোলা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কিন্তু দেশের মানুষ এবং প্রশাসন সতর্ক থাকায় খুব বেশি ক্ষতি সাধন করতে পারেনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় আপনাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আপনার আশপাশের কিছু লোক আপনাকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছে। আমার বক্তব্য হলো, আপনি দুষ্টু লোকদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। মনে রাখতে হবে, এসব চক্রান্তের মূল উদ্দেশ্য- নির্বাচন বানচাল করা কিংবা একটা অরাজক অবস্থা তৈরি করে আপনাকে বিপদে ফেলা। কারণ, তারা জানে আপনাকে বিপদে ফেলতে পারলে দেশের অবস্থা স্বাভাবিক থাকবে না। তাই বিনয়ের সাথে আপনাকে বলব, পরিস্থিতি ভালো থাকতে থাকতে আপনি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিন।
এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এস এম মিজানুর রহমান, সুরঞ্জন ঘোষ, কালাম ফয়েজী, সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহিন, রেজাউল করিম, আলমগীর হোসেন আলম, মো. নাছির হোসেন বাবু, মহিদুল ইসলাম মামুন, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, নবি হোসেন, মো. মজিবর রহমান, মুকুল ও মো. কবীর হোসেন প্রমুখ।