সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। এতে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি এখন ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম কমলেও ভরা মৌসুমে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ সবজির দামে তেমন হেরফের হয়নি। একইসঙ্গে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির। মাছের দামেও পরিবর্তন আসেনি।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৩০ টাকা। ছোট আকারের দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
পেঁয়াজের দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী নোয়াব আলী বলেন, মৌসুম শেষেও এবার পেঁয়াজের দাম খুব একটা বাড়েনি। এখন নতুন পেঁয়াজের ভরা মৌসুম। দিন যত যাচ্ছে বাজারে ভালো মানের নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে। আর বাজারে পেঁয়াজের আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমেছে।
মালিবাগের ব্যবসায়ী মো. রাজু বলেন, গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকা বিক্রি করেছি। এখন বাছাই করা দেশি পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকা বিক্রি করছি। পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমায় আমরা কম দামে বিক্রি করতে পারছি। সামনে পেঁয়াজের দাম আরও একটু কমতে পারে।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা। আর লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা।
মুরগির দামের বিষয়ে কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ী হারুন বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম টানা দুই সপ্তাহে ৩০ টাকার মতো কমে যায়। তবে গত সপ্তাহে মুরগির দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমাদের ধারণা মুরগির এই দাম আরও কিছুদিন স্থিতিশীল থাকবে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসা ব্যবসায়ীরা ৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। শশার পাশাপাশি পাকা টমেটো ও গাজরের দাম কিছুটা কমেছে। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
এই তিন সবজির দাম কিছুটা কমলেও অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। শালগমের (ওল কপি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
এছাড়া বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলাশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাক বিক্রি হচ্ছে। আর পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এ গুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী ওমর ব্যাপারী বলেন, এবার ফুলকপি চাষ অন্যান্য বছরের তুলনায় কম হয়েছে। যে কারণে চাহিদার তুলনায় বাজারে ফুলকপির সরবরাহ কম। সরবরাহ কম থাকায় দাম কমছে না। আর ফুলকপির দাম না কমার কারণে অন্যান্য সবজির দামও এবার তুলনামূলক বেশি।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা।,
এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা। ছোট ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি।