মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন ও নিরাপত্তা রক্ষায় দক্ষতার সঙ্গে কাজ করায় পুলিশের ওপর মানুষের আস্থা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার সকালে পাঁচ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২২ এর উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সকাল ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহর উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে পুলিশের নানা কার্যক্রমের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছে। বিএনপির ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ভাঙচুর জ্বালাও-পোড়াও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছে। করোনা মহামারি মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এতে পুলিশের ওপর মানুষের আস্থা বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমন, মাদক নির্মূল এবং চোরাচালান দমনে পুলিশের ভূমিকা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করেছে। এছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সাহসী সদস্যগণ উল্লেখযোগ্য প্রশংসনীয় অবদান রেখে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ক্ষমতায় আসার পর পুলিশের বাজেট ৪০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকায় উন্নীত করি। আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় জনগণের সেবক হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য কাজ করতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী প্যারেডে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের সুশৃঙ্খল ও দৃষ্টিনন্দন প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। বার্ষিক পুলিশ প্যারেডে অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন পুলিশ সুপার মো. ছালেহ উদ্দিন। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের পুলিশ সদস্যরা প্যারেডে অংশ নিয়েছেন।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ২০২০ সালে ১১৫ এবং ২০২১ সালে ১১৫ জনসহ মোট ২৩০ পুলিশ সদস্যকে পদক দেওয়া হবে। পদকের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা, রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম), রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা।
করোনার কারণে ২০২১ সালে পুলিশ সপ্তাহ অনুষ্ঠিত না হওয়ায় এ বছর ২০২০ ও ২০২১ সালের পদক একসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে।
করোনার কারণে এবারের অনুষ্ঠান কাটছাঁট করা হয়েছে। পাঁচ দিনব্যাপী (২৩-২৭ জানুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহের প্রতিটি অনুষ্ঠান যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনপূর্বক অনুষ্ঠিত হবে বলে আগেই জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
প্রতিবছর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের দরবার বসলেও করোনার কারণে এবার তা বাতিল করা হয়েছে। তাই পুলিশের দাবিদাওয়া লিখিতভাবে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে। তবে দরবার হল না বসলেও পুরনোসহ নতুন কিছু দাবিদাওয়া নির্ধারণ করেছে পুলিশ।,