রাজধানীর পীরেরবাগ এলাকায় গৃহবধূ লিপি খাতুনকে হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। পারিবারিক কহলের জেরে স্বামী আফজাল মোল্লা (৪৫) তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকার কাওলার একটি হোটেল থেকে আফজালকে গ্রেফতার করলে পুলিশকে এমন তথ্য দেন তিনি।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন মিরপুরের গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি মানষ কুমার পোদ্দার।
তিনি জানান, গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যা সাতটার দিকে লিপি খাতুনের মেয়ে গার্মেন্টস থেকে কাজ করে বাসায় ফিরে দেখতে পান লিপি খাতুনের ব্যবহৃত ওড়নার এক প্রান্ত দিয়ে তার গলায় একাধিক গিট দেওয়া এবং অপরপ্রাপ্ত মুখের ওপর দেয়া এবং দরজা খোলা। পরে মায়ের মুখের ওড়না সরালে নাক ও মুখ রক্তাক্তসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখতে পান তিনি।
পরিবারের ধারণা গ্রেফতার আফজাল মোল্লা তার স্ত্রীকে মারপিট করে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর কোথাও চলে গেছে।
৮ বছর আগে আফজালের সঙ্গে লিপি খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
জানা যায়, গত দুই বছর ধরে মিরপুর মডেল থানাধীন উত্তর পীরেরবাগ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল তারা। বিয়ের পর আফজাল বিভিন্ন অজুহাতে মারপিটসহ স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে করতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবিকে আফজাল জানায়, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আফজালের সঙ্গে স্ত্রী লিপির দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। ঘটনার দিন কলহের এক পর্যায়ে আফজালের সঙ্গে তার স্ত্রীর ঝগড়া হয়। এ সময় ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত করে আফজাল।
স্ত্রীকে হত্যার পর সেই রাতেই একটি ওভারব্রিজের ওপর রাত কাটান তিনি। পরে কাওলা এলাকার একটি হোটেলে শ্রমিক হিসেবে কাজ নেন।
ঘটনার পর পুলিশ হত্যার রহস্য উন্মোচনে চেষ্টা চালাতে থাকে। একপর্যায়ে কাওলা থেকে আফজালকে গ্রেফতারের পর খুনের কারণ জানতে পারে।