পিলখানায় হত্যাকাণ্ড সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র: মির্জা ফখরুল

রাজধানীর পিলখানায় ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তার নিহত হওয়ার ঘটনাকে শুধু বিদ্রোহ হিসেবে মানতে নারাজ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছন, এর পেছনে শুধু বিদ্রোহ ছিল না। একটা সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ছিল।’ সেনাবাহিনীর মনোবলটা ভেঙে দেয়াই ওই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ ছিল বলে মনে করেন তিনি।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানা শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

 

ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধেও কিন্তু আমরা একদিনে এত কর্মকর্তা হারাইনি। পিলখানার এই দুর্ঘটনার মাধ্যমে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়েছিল।

 

১৩ বছরেও এই ঘটনার নেপথ্যে কারা ছিলেন তা প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এর পেছনে কারা ছিল, কেন এই ঘটনা ঘটেছিল, আজকে দুর্ভাগ্য আমাদের তদন্ত করে তা আজ ১৩ বছরেও বের করা হয়নি।

 

তিনি আরও বলেন, সেটাকে (বিডিআর) ভেঙে দিয়ে নতুন প্রতিষ্ঠান (বিজিবি) করা হয়েছে। হাজার হাজার বিডিআর সদস্যদের বিচার করা হয়েছে। এর পেছনের শক্তি কারা সেই সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট এখনো আমরা পাই নাই। সেনাবাহিনী যে তদন্ত করেছিল তার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় নাই।

 

মহাসচিবের সঙ্গে বিএনপি দলীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে- ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম, এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহি আকবর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির, কর্নেল (অব.) কামরুজ্জামান, মেজর (অব.) এম এম হাসান, মেজর (অব.) কোহিনুর আলম নুর, মেজর (অব.) আজিজ রেজা, শামীমুর রহমান শামীম, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ছিলেন।

 

এছাড়াও জোট নেতাদের মধ্যে কল্যাণ পার্টির চেয়রাম্যান মেজর জেনারেল (অব. সৈয়দ ইব্রাহিম, এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, ডেমোক্রেটিক লীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফ উদ্দিন মনি প্রমুখ ছিলেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন শিক্ষা দিয়েছে রাজনীতিতে দম্ভের পতন অনিবার্য: রুহুল আমিন হাওলাদার

» জাকসুতেও শিবিরের জয়জয়কার

» ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে রাকসু ভোট গণনাসহ ১২ দফা দাবি ছাত্রদলসহ ২ প্যানেলের

» জাকসু নির্বাচনে বিজয়ীদের ফল প্রকাশ, ভিপি জিতু ও জিএস মাজহারুল ইসলাম

» দেশে গণতন্ত্র না থাকায় অনেকের মধ্যে অসহিষ্ণুতা জন্ম নিয়েছে : তারেক রহমান

» জনগণ রায় দিলে দেশকে ৫ বছরেই ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করা সম্ভব: জামায়াত আমির

» পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন নয়: চরমোনাই পীর

» ‘সরকার-উপদেষ্টারা মাহফুজদের ব্যবহার করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে’: নাহিদ ইসলাম

» ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে: আলী রীয়াজ

» আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, কোনো সন্দেহ নেই: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

পিলখানায় হত্যাকাণ্ড সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র: মির্জা ফখরুল

রাজধানীর পিলখানায় ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তার নিহত হওয়ার ঘটনাকে শুধু বিদ্রোহ হিসেবে মানতে নারাজ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছন, এর পেছনে শুধু বিদ্রোহ ছিল না। একটা সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ছিল।’ সেনাবাহিনীর মনোবলটা ভেঙে দেয়াই ওই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ ছিল বলে মনে করেন তিনি।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানা শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

 

ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধেও কিন্তু আমরা একদিনে এত কর্মকর্তা হারাইনি। পিলখানার এই দুর্ঘটনার মাধ্যমে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়েছিল।

 

১৩ বছরেও এই ঘটনার নেপথ্যে কারা ছিলেন তা প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এর পেছনে কারা ছিল, কেন এই ঘটনা ঘটেছিল, আজকে দুর্ভাগ্য আমাদের তদন্ত করে তা আজ ১৩ বছরেও বের করা হয়নি।

 

তিনি আরও বলেন, সেটাকে (বিডিআর) ভেঙে দিয়ে নতুন প্রতিষ্ঠান (বিজিবি) করা হয়েছে। হাজার হাজার বিডিআর সদস্যদের বিচার করা হয়েছে। এর পেছনের শক্তি কারা সেই সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট এখনো আমরা পাই নাই। সেনাবাহিনী যে তদন্ত করেছিল তার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় নাই।

 

মহাসচিবের সঙ্গে বিএনপি দলীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে- ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম, এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহি আকবর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির, কর্নেল (অব.) কামরুজ্জামান, মেজর (অব.) এম এম হাসান, মেজর (অব.) কোহিনুর আলম নুর, মেজর (অব.) আজিজ রেজা, শামীমুর রহমান শামীম, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ছিলেন।

 

এছাড়াও জোট নেতাদের মধ্যে কল্যাণ পার্টির চেয়রাম্যান মেজর জেনারেল (অব. সৈয়দ ইব্রাহিম, এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, ডেমোক্রেটিক লীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফ উদ্দিন মনি প্রমুখ ছিলেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com