পালংখালী সীমান্তে ইয়াবা কারবারির সঙ্গে গোলাগুলি বিজিবি’র

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্তে বিজিবি’র টহল টিম লক্ষ্য করে ব্যাপক গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। দুই দল ইয়াবা কারবারি নিজেদের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায়ে বিজিবি’র সঙ্গে এই সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বিজিবি সূত্রে জানা গেছে। 

 

বর্তমানে সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে বলে বিজিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশি বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। মিয়ানমারের সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপ পালংখালী সীমান্তে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সীমান্তের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

 

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে এক প্রেস রিলিজে কক্সবাজার-৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ধামনখালী সীমান্ত এলাকায় ২০ নম্বর সীমানা পিলারের কাছে দুই দল ইয়াবা কারবারির মধ্যে ইয়াবা কেনাবেচা নিয়ে দ্বন্দ্বে গোলাগুলি শুরু হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বালুখালী বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা আর পরে ঘুমধুম ও পালংখালী বিওপির বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ইয়াবা কারবারিরা বিজিবি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এসময় বিজিবি সদস্যরা পাল্টা গুলি ছুড়লে বেশ কিছু সময় বিজিবি-ইয়াবা কারবারি দলের মধ্যে গোলাগুলি চলে। এক পর্যায়ে ইয়াবা কারবারিরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে চলে যায়।

 

বিজিবির এই কর্মকর্তা আরও জানান, গোলাগুলির ঘটনায় বিজিবি’র কেউ আহত হয়নি তবে ইয়াবা কারবারিদের কোন সদস্য আহত বা নিহত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। বর্তমানে সীমান্ত এলাকার বিজিবি’র সকল বিওপি সমূহ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি টহল এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে।

 

পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, সন্ধ্যায় পালংখালী ইউনিয়নের ধামনখালী সীমান্তে ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযানে গেলে বিজিবি’র টহল টিম লক্ষ্য করে মিয়ানমার দিক থেকে আসা সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা গুলিবর্ষণ করে। অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলে গুলিবর্ষণের ঘটনা। পরে বিজিবি’র স্থানীয় বিওপির সৈনিকরাও পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে চলে যায়।

 

তিনি আরও জানান, গুলিবর্ষণকারীরা মিয়ানমারের নবী হোসেন নামে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য বলে ধারনা করা হচ্ছে। তারা সীমান্ত কেন্দ্রিক ইয়াবা কারবারে জড়িত।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আন্দোলন কারো জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে না : রিজভী

» হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলেন নুরুল হক নুর

» দোহায় তৌহিদ হোসেন-ইসহাক দার বৈঠক

» বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে প্রস্তুত ঢাকা

» যমুনা অভিমুখে প্রাথমিক শিক্ষকরা, পুলিশের জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

» জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহযোগিতা করা হবে: আসিফ মাহমুদ

» নবীর আদর্শ মনে প্রাণে ধারণ করে জীবন গঠন হবে ….. জেলা প্রশাসক নরসিংদী 

» ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশের উত্তরা ক্যাম্পাসে ইয়াং লার্নার ইংলিশ লার্নিং সেন্টার-এর নতুন শাখা চালু করল ব্রিটিশ কাউন্সিল

» ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এর অধীনে ব্র্যাক ব্যাংকের দেশব্যাপী আর্থিক সাক্ষরতা প্রোগ্রাম আয়োজন

» নওগাঁয় ডিবি পুলিশের অভিযানে মাদক কারবারি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ আটক ৩

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

পালংখালী সীমান্তে ইয়াবা কারবারির সঙ্গে গোলাগুলি বিজিবি’র

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্তে বিজিবি’র টহল টিম লক্ষ্য করে ব্যাপক গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। দুই দল ইয়াবা কারবারি নিজেদের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায়ে বিজিবি’র সঙ্গে এই সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বিজিবি সূত্রে জানা গেছে। 

 

বর্তমানে সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে বলে বিজিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশি বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। মিয়ানমারের সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপ পালংখালী সীমান্তে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সীমান্তের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

 

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে এক প্রেস রিলিজে কক্সবাজার-৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ধামনখালী সীমান্ত এলাকায় ২০ নম্বর সীমানা পিলারের কাছে দুই দল ইয়াবা কারবারির মধ্যে ইয়াবা কেনাবেচা নিয়ে দ্বন্দ্বে গোলাগুলি শুরু হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বালুখালী বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা আর পরে ঘুমধুম ও পালংখালী বিওপির বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ইয়াবা কারবারিরা বিজিবি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এসময় বিজিবি সদস্যরা পাল্টা গুলি ছুড়লে বেশ কিছু সময় বিজিবি-ইয়াবা কারবারি দলের মধ্যে গোলাগুলি চলে। এক পর্যায়ে ইয়াবা কারবারিরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে চলে যায়।

 

বিজিবির এই কর্মকর্তা আরও জানান, গোলাগুলির ঘটনায় বিজিবি’র কেউ আহত হয়নি তবে ইয়াবা কারবারিদের কোন সদস্য আহত বা নিহত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। বর্তমানে সীমান্ত এলাকার বিজিবি’র সকল বিওপি সমূহ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি টহল এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে।

 

পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, সন্ধ্যায় পালংখালী ইউনিয়নের ধামনখালী সীমান্তে ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযানে গেলে বিজিবি’র টহল টিম লক্ষ্য করে মিয়ানমার দিক থেকে আসা সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা গুলিবর্ষণ করে। অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলে গুলিবর্ষণের ঘটনা। পরে বিজিবি’র স্থানীয় বিওপির সৈনিকরাও পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে চলে যায়।

 

তিনি আরও জানান, গুলিবর্ষণকারীরা মিয়ানমারের নবী হোসেন নামে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য বলে ধারনা করা হচ্ছে। তারা সীমান্ত কেন্দ্রিক ইয়াবা কারবারে জড়িত।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com