পাটখাত দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম ক্ষেত্র: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাটখাত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, ‘সোনালি আঁশ পাট বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। পাটখাত দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম ক্ষেত্র। বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে স্বীকৃত শ্রমঘন পাটখাত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

 

সোমবার (৬ মার্চ) ‘জাতীয় পাট দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশব্যাপী ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ আয়োজন উপলক্ষে পাটচাষি, পাটশিল্পের শ্রমিক-কর্মচারী, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীসহ উৎপাদন এবং বিপণনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।’ এ বছর পাট দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পাট শিল্পের অবদান স্মার্ট-বাংলাদেশ বিনির্মাণ।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাটশিল্পের উন্নয়নে নানামুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের চলমান পৃষ্ঠপোষকতা পাটখাতের হারানো ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করার সঙ্গে সঙ্গে এ খাতকে অধিক সমৃদ্ধশালী করতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বব্যাপী পরিবেশের ওপর প্লাস্টিক ও পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি হওয়ায় বিকল্প প্রাকৃতিক তন্তু হিসেবে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি, দেশীয়-আন্তর্জাতিক বাজারে পাট-পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি ও বিশ্বব্যাপী সোনালি আঁশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে পাটপণ্যকে ‘বর্ষপণ্য ২০২৩’ এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এরইমধ্যে ‘পণ্যে পাটজাতমোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন- ২০১০’, ‘পাট আইন- ২০১৭’, ‘জাতীয় পাটনীতি- ২০১৮’ এবং ‘চারকোল নীতিমালা- ২০২২’ প্রণয়ন পাটখাতের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ নীতি সহায়তা হিসেবে কাজ করছে। পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করছে। আমি আশা করি, বাংলাদেশের বহুমুখী পাটপণ্য একদিন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে।

 

আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছর ধরে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে রোল মডেল। আমরা মাতৃভূমিকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে এসেছি। আমাদের উন্নয়নের এ গতিধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। প্রতিষ্ঠিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশ তথা জাতির পিতার আজীবন লালিত স্বপ্ন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।’

 

পাটচাষিদের অত্যন্ত পরিশ্রমী উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের মাটি এই অর্থকরী ফসল চাষের বিশেষ উপযোগী। সুতরাং আমাদের শ্রম, মেধা, গবেষণালব্ধ ফল, পাটের বহুমুখী পণ্যের সম্ভার, সম্প্রসারণশীল বাজার এবং সরকারি-বেসরকারি সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় পাটখাত উত্তরোত্তর এগিয়ে যাবে।’

প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় পাট দিবস ২০২৩’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। সূত্র: বাসস

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক গভীর হচ্ছে : মির্জা ফখরুল

» পৌনে ২ ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক

» শেখ মুজিব আত্মসমর্পণ করলে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জিয়া: আব্দুস সালাম

» আ.লীগ আমলে পরাজিত প্রার্থীরা মেয়র পদে বসাকে সমর্থন করেন না স্থানীয় সরকার : আসিফ মাহমুদ

» মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ

» ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্যামসাং নিয়ে এল বিশেষ অফার

» ফ্রিল্যান্সারদের জন্য দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত ব্যাংকিং নিশ্চিত করতে প্রাইম ব্যাংক ও বিডিএফডিএস-এর চুক্তি

» জ্যাক গ্লোবাল পার্টনারস কনফারেন্স ২০২৫-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করলো এনার্জিপ্যাক

» পদোন্নতি পেয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের এএমডি হলেন তারেক ও মোমেন এবং ডিএমডি হলেন নাজমুর রহিম ও মো: মুনীরুজ্জামান মোল্যা

» ‘আমাদের নিয়ত পরিষ্কার, আমরা যা বলেছি, আমরা তাই করব, ইনশাআল্লাহ’: তারেক রহমান

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

পাটখাত দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম ক্ষেত্র: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাটখাত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, ‘সোনালি আঁশ পাট বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। পাটখাত দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম ক্ষেত্র। বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে স্বীকৃত শ্রমঘন পাটখাত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

 

সোমবার (৬ মার্চ) ‘জাতীয় পাট দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশব্যাপী ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ আয়োজন উপলক্ষে পাটচাষি, পাটশিল্পের শ্রমিক-কর্মচারী, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীসহ উৎপাদন এবং বিপণনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।’ এ বছর পাট দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পাট শিল্পের অবদান স্মার্ট-বাংলাদেশ বিনির্মাণ।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাটশিল্পের উন্নয়নে নানামুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের চলমান পৃষ্ঠপোষকতা পাটখাতের হারানো ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করার সঙ্গে সঙ্গে এ খাতকে অধিক সমৃদ্ধশালী করতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বব্যাপী পরিবেশের ওপর প্লাস্টিক ও পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি হওয়ায় বিকল্প প্রাকৃতিক তন্তু হিসেবে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি, দেশীয়-আন্তর্জাতিক বাজারে পাট-পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি ও বিশ্বব্যাপী সোনালি আঁশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে পাটপণ্যকে ‘বর্ষপণ্য ২০২৩’ এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এরইমধ্যে ‘পণ্যে পাটজাতমোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন- ২০১০’, ‘পাট আইন- ২০১৭’, ‘জাতীয় পাটনীতি- ২০১৮’ এবং ‘চারকোল নীতিমালা- ২০২২’ প্রণয়ন পাটখাতের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ নীতি সহায়তা হিসেবে কাজ করছে। পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করছে। আমি আশা করি, বাংলাদেশের বহুমুখী পাটপণ্য একদিন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে।

 

আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছর ধরে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে রোল মডেল। আমরা মাতৃভূমিকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে এসেছি। আমাদের উন্নয়নের এ গতিধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। প্রতিষ্ঠিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশ তথা জাতির পিতার আজীবন লালিত স্বপ্ন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।’

 

পাটচাষিদের অত্যন্ত পরিশ্রমী উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের মাটি এই অর্থকরী ফসল চাষের বিশেষ উপযোগী। সুতরাং আমাদের শ্রম, মেধা, গবেষণালব্ধ ফল, পাটের বহুমুখী পণ্যের সম্ভার, সম্প্রসারণশীল বাজার এবং সরকারি-বেসরকারি সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় পাটখাত উত্তরোত্তর এগিয়ে যাবে।’

প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় পাট দিবস ২০২৩’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। সূত্র: বাসস

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com