দীর্ঘদিন ধরেই অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে পাকিস্তান। এমন অবস্থায় সামাজিক মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে যে- বাসিন্দারা রান্নার গ্যাস পেতে মরিয়া ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে স্থানীয়দেরকে এলপিজি সংরক্ষণের জন্য বিশাল প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করতে দেখা গেছে। কারণ, দেশটি রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের মজুত হ্রাসের সম্মুখীন হয়েছে।
ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরা হচ্ছে রান্নার প্রাকৃতিক গ্যাস। দেশটির গ্যাস পাইপলাইন নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত দোকানগুলোতে চলছে এমন কাজ। ব্যাগের ছিদ্র এড়াতে বিক্রেতারা এর অগ্রভাগ এবং খোলা অংশ ভালভ দিয়ে শক্ত করে বন্ধ করে দিচ্ছেন। তারপর ব্যাগগুলো এমন লোকদের কাছে বিক্রি করা হয়, যারা পরে একটি ছোট বৈদ্যুতিক সাকশন পাম্পের সাহায্যে গ্যাস ব্যবহার করে। প্লাস্টিকের ব্যাগে তিন থেকে চার কেজি গ্যাস ভরতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে।
একজন টুইটার ব্যবহারকারী একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানে রান্নার জন্য সিলিন্ডারের পরিবর্তে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে গ্যাস ব্যবহারের প্রচলন বেড়েছে। গ্যাস পাইপলাইন নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত দোকানের ভিতরে ব্যাগ ভর্তি করে গ্যাস বিক্রি করা হয়। লোকেরা এটি একটি ছোট বৈদ্যুতিক সাকশন পাম্পের সাহায্যে রান্নাঘরে ব্যবহার করে।’
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, দুটি শিশু এলপিজি ভর্তি সাদা প্লাস্টিকের কয়েকটি ব্যাগ বহন করছে। স্থানীয় একজন বলেন, এই প্লাস্টিকের ব্যাগগুলো গ্যাস বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। কিন্তু, প্রথমত আমি এমন কোনও দুর্ঘটনার কথা শুনিনি এবং দ্বিতীয়ত, এই আশঙ্কাগুলো সত্য হলেও সিলিন্ডার অনেক দামি হওয়ায় এর কোনও বিকল্প নেই।
এমন ভিডিও সামনে আসার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা। তারা বলছেন যে, এমন অনুশীলন অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ এটি যকোনও সময় বড় দুর্ঘটনার জন্ম দিতে পারে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে এক নেটিজেন বলেছেন, ‘আমি এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। পাকিস্তানে কি কোন পণ্য ও সেবা বিভাগ নেই? কিছু মৌলিক নিরাপত্তা মান অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে, তাই না? সূত্র: এনডিটিভি